গাজীপুরে মহাসড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক বিভাগের দুই কনস্টেবলকে চড়-থাপ্পড় মেরে আটক হয়েছেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ও গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুন নেছা রুনা।
শনিবার (১৪ মার্চ) দুপুরে মহানগরীর চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অবৈধভাবে ইউটার্ন নেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনাটি ঘটে। আটন রুনা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সংরক্ষিত নারী আসনের ৩১, ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর রুহুন নেছা শনিবার দুপুরে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা মোড় এলাকার উত্তর পাশ অতিক্রম করে দক্ষিণে যাবেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন ওই রাস্তাটি রশি দিয়ে বন্ধ রয়েছে।
পরে তিনি রশি ঠেলে ইউটার্ন নেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সদস্য তাকে বাধা দেন। এ সময়ে রুহুন নেছা নিজেকে কাউন্সিলর পরিচয় দেন।
কিন্তু ওই পুলিশ সদস্য তাকে ওই পথে যেতে বাধা সৃষ্টি করেন। এ সময় উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে রুহুন নেছা উত্তেজিত হয়ে ওই ট্রাফিক পুলিশের গালে চড় মারেন। পরে সেখানে থাকা ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আরও পুলিশ এসে তাকে আটক করে বসিয়ে রেখে বাসন থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ দুপুর আড়াইটার দিকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
কাউন্সিলর রুহুন নেছা বলেন, চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় অনেকেই উল্টোপথে যাতায়াত করে থাকে। একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য তাদেরকে নিজের পরিচয় দিয়ে অনুরোধ করলেও তারা কথা শুনেননি। এক পর্যায়ে পুলিশ এমন করছিল যেন তার উপরে এসে পড়বে। তখন নিজেকে রক্ষা করতে চড় দিয়েছি।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) ট্রাফিক (উত্তর) বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মাজহারুল ইসলাম জানান, কাউন্সিলর রুহুন নেছা রুনু দুপুর দেড়টার দিকে ট্রাফিক নির্দেশনা না মেনে গাড়ি চালাচ্ছিলেন। কর্তব্যরত দুই ট্রাফিক পুলিশ বাধা দিলে তিনি গাড়ি থেকে নেমে অশ্লীল গালাগাল শুরু করেন। একপর্যায়ে দুই টাকার পুলিশ আমরা তোদের পালি, বেতন দেই। আমকে চিনিস, আমি কি করতে পারি ধারণা নেই তোর বলেই ওই পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড় মারেন। এতে হতবিহ্বল হয়ে পড়েন ওই পুলিশ কনস্টেবল। তাকে রক্ষা করতে আরেক কনস্টেবল এগিয়ে গেলে, তাকেও থাপ্পড় মারেন রুনু। পরে গাড়িসহ ওই নেত্রীকে চান্দনা পুলিশ বক্সে নেওয়া হয়। বেলা ২টার দিকে তাকে বাসন থানায় সোপর্দ করা হয়।
বাসন থানার ওসি একেএম কাউছার চৌধুরী জানান, তাকে আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় এক সদস্যের পোশাকের বোতাম ছিঁড়ে গেছে। উক্ত ঘটনায় আহত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আশিকুর রহমান বাদী হয়ে ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।
Leave a Reply