সমুদ্র ও বিমান বন্দরের কারণে দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম। কারণ চট্টগ্রামে রয়েছে সমুদ্র বন্দর আরও বিমান বন্দর।
সোমবার (১৬ মার্চ) বিকেল নগরীর জেনারেল হাসপাতালে ‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া।
সিভিল সার্জন বলেন, বন্দর দিয়ে প্রতিদিন নানা দেশের মানুষ জাহাজে করে আসছে। তারা আবার এদেশের মানুষের সাথে মিশছে। তাই সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে চট্টগ্রাম। এছাড়া রয়েছে বিমান বন্দর। যদি সেখানে থার্মাল স্ক্যাকেনার বসানো হয়েছে।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন জানান, সোমবার পর্যন্ত বিদেশ ফেরত ২৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। প্রতিদিন এর সংখ্যা বাড়ছে। নগরীতে সাড়ে তিন’শো আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ফৌজদারহাট বিআইটি আইডি হাসপাতালে ৫০ টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল ৩০টি আর চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ১০০ টি সহ মোট ৩৫০ টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত আছে। এছাড়া ১৪ টি উপজেলার জন্য আর দেড়শোর মতো বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি ২টি স্কুল ও আবাসিক হোটেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনের জন্য। একটি হালি শহরের এইচ আমীন একাডেমি অপরটি সিডিএ গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ। এছাড়া দুটি আবাসিক।
দেশের করোনা আক্রান্ত ৮ জন। কোয়ারান্টাইনে আড়াই হাজারের বেশি। বন্ধের ঘোষণা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নির্দেশনা জনসমাগম এড়িয়ে চলা। এমন যখন অবস্থা তখন প্রস্তুত সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকা বন্দর নগরীর চট্টগ্রামও।
করোনা মোকাবেলায় আক্রান্তদের জন্য নগরীতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৩৫০ শয্যা আইসোলেশন বা পৃথকীকরণ বেড। পাশাপাশি ১৪ উপজেলায় রাখা হয়েছে আরো ১৫০টি বেড।
তিনি বলেন, হোম কোয়ারান্টাইনে যারা আছে তাদেরকে অবহেলা করা যাবে না। এটা বৈশ্বিক সমস্যা। সবাইকে এক সাথে মোকাবেলা করতে হবে। তবে সংক্রমণ শতভাগ নিশ্চিত করা যাবে হোম কোয়ারেন্টাইনে যারা আছে তাদের সচেতনতার ওপর।
সিটি নির্বাচনে গণসংযোগ করা নিয়ে তিনি বলেন, জনসমাগম এড়িয়ে চলতে হবে। প্রয়োজন ডিজিটাল প্রচারণা চালানো যেতে পারে।
Leave a Reply