২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ইসলাম মাহমুদ, কক্সবাজার : কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবধরনের জনসমাগম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো: কামাল হোসেন।
এদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে হিমছড়ি, ইনানী, কক্সবাজার সৈকতে পর্যটক চোখে পড়েনি। চারিদিকে শূন্যতা বিরাজ করছে। আবাসিক হোটেলগুলোতে চোখে পড়ার মতো কোনো পর্যটক নেই। আবাসিক হোটেলের মালিকরা প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলছে।
প্রশাসনের ঘোষণার পর থেকে কক্সবাজারে পর্যটক আগমন ঠেকাতে মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যাত্রীবাহী বাস তল্লাসি করতে চকরিয়ায় বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
বিভিন্ন বাস কাউন্টার ও জনসমাগমের জায়গায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারপত্র বিলিসহ সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। যেসব পর্যটক বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান করছেন তারা নিরাপদে গন্তব্যে ফিরতে পারবেন। তবে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারির পর কোনো আবাসিক হোটেলে নতুন বুকিং নেয়া যাবে না বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, যেসব পর্যটক ইতিমধ্যে হোটেলে অবস্থান করছেন তাদেরও ফেরত যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কোনো পর্যটক, পিকনিক পার্টি, কনফারেন্স বা অন্য কোন জমায়েত ও সমাবেশের উদ্দেশ্যে কক্সবাজার শহরে কেউ যাতে আসতে না পারে সেজন্য কক্সবাজার-চট্টগাম মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং পয়েন্টে জেলা পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
এদিকে, হোম কোয়ারেন্টাইন নির্দেশ অমান্য করার দায়ে বিদেশফেরত চার প্রবাসীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফকরুল ইসলাম জানান, করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং কক্সবাজারকে করোনামুক্ত রাখতে জনসমাগম বন্ধ রাখা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সমুদ্রসৈকতে দেশি-বিদেশি পর্যটক যাতে সমাগম না হয় সে জন্য এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সভা-সমাবেশসহ সব ধরনের জনসমাগম না করার নির্দেশনার কথা জানান এ কর্মকর্তা।
কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটক আসে। এর ফলে কক্সবাজার করোনাভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছো। তাই করোনাঝুঁকি এড়াতে কক্সবাজারে পর্যটকদের না আসার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। একই সাথে সমুদ্র সৈকতে জনসমাগম রোধে পর্যটকদের না নামতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
২৪ ঘন্টা/আর এস পি
Leave a Reply