করোনা যত বড় শত্রুই হোক, আমরা পরাজিত করব: কাদের

করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) নিয়ে ঝুঁকি থাকলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (২০ মার্চ) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানানো শেষে এ কথা বলেন তিনি।

কাদের বলেন, ভাইরাসের ঝুঁকি থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারব সেটা নিশ্চিত করে বলা যায় না। আমাদের সর্বাত্মক প্রয়াস সম্মিলিতভাবে করোনা যত বড় শত্রুই হোক, এই শত্রু আমরা পরাজিত করব।

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমাদের এখানে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের সর্বাত্মক প্রয়াস, সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে করোনা যত বড় শত্রুই হোক, এই শত্রুকে আমরা পরাজিত করব।’

দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের মধ্যেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন থামছে না—বিএনপির মহাসচিবের এমন অভিযোগের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মধ্যেও নির্যাতন থামছে না, বিরোধী দলের ওপর নির্যাতন কীভাবে হচ্ছে, এটা আমার জানা নেই। কোনো তথ্যপ্রমাণ তো নেই। কোথায় তাদের ওপর নির্যাতন করা হচ্ছে? তথ্যপ্রমাণ নিয়ে আসুক। তারা ঢালাওভাবে অন্ধকারে ঢিল ছুড়বে যে নির্যাতন হচ্ছে, অত্যাচার হচ্ছে, এটা তাদের পুরোনো অভ্যাস।’

নির্বাচন পেছানোয় বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলামরা কখন কী যে বলেন, সবকিছুতে রাজনীতি খুঁজে বেড়ান। নির্বাচনের বিষয়টা সম্পূর্ণভাবে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। এখানে সরকারের কোনো কিছু করণীয় নেই। নির্বাচন কমিশন সরকার নিয়ন্ত্রণ করে না। তাদের সিদ্ধান্ত তারাই নেয়। মির্জা ফখরুল সাহেব নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন, সেটা নির্বাচন কমিশন করবে কি না, সেটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়।’

এ সময় আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্মৃতিচারণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান আমাদের দেশের একজন বরেণ্য রাজনীতিবিদ, সৎ ও সাহসী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। যিনি স্বাধীনতা-সংগ্রামে, মুক্তিযুদ্ধে অবদান রেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর খুবই ঘনিষ্ঠ সহচর এবং সংকটের একজন সাহসী নেতা হিসেবে জিল্লুর রহমান সাহেব এ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সবার কাছে প্রিয় ব্যক্তিত্ব।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিশেষ করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা যখন কারাগারে, সে সময় জিল্লুর রহমান যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন এবং দুঃসময়ে তিনি ছিলেন ঐক্যের প্রতীক। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং বয়স অনেক বেশি হলেও আন্দোলন-সংগ্রামে যে অবদান রেখেছিলেন, সেটা আমাদের অনেক নেতাকর্মীর জন্য ছিল অনুপ্রেরণার উৎস।’

২০১৩ সালের এই দিনে রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন জিল্লুর রহমান। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ নেতাকর্মীরা ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ১৭ জনের শরীরে এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়ার পর মারা গেছেন একজন।
বিশ্বব্যাপী এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ৭৮ জন। মারা গেছেন ১০ হাজার ৪৮ জন। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৮ হাজার ১৫১ জন।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *