ঢাকার পর এবার চট্টগ্রামেও আসছে ই-পাসপোর্ট। হবে, হচ্ছে এমন দীর্ঘ আলোচনার পর চট্টগ্রামবাসী ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট বা ই-পাসপোর্টের অংশিদার হতে যাচ্ছেন সোমবার থেকেই।
সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা ভাইরাসের কারণে বড় ধরণের কোন আনুষ্ঠানিকতা না করে ছোট পরিসরে ঘরোয়া পরিবেশে চট্টগ্রামবাসীর জন্য ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন হচ্ছে। এ নিয়ে দাপ্তরিক নির্দেশনা পেয়েই ইতিমধ্যে নানাবিধ কার্যক্রম শুরু করে প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
পাসপোর্ট অফিস ও সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাথমিকভাবে প্রথম পর্যায়ে ঢাকায় উদ্বোধন করেছিলেন।
এরপর এখন ২য় পর্যায়ে চট্টগ্রাম বিভাগেও (চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী ও কুমিল্লা) ২৩ মার্চ থেকে ২৯ মার্চে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে উদ্বোধন হচ্ছে। এ কার্যক্রম শুরু হলেই সাধারণ মানুষ নিজেদের পাসপোর্ট পেতে ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।
ই-পাসপোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত অন্যতম কর্মকর্তা লে. কর্নেল মোহাম্মদ নুরুল আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ই-পাসপার্টের খবরটা আরো বড় পরিসরে দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম চট্টগ্রামবাসীর জন্য। বিশ্বের মতো দেশের করোনা ভাইরাসসহ বিভিন্ন চলমান পরিস্থিতির কারণে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সচেতনতা বেশী প্রয়োজন। তাই আমাদের টার্গেট হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে ই-পাসপোর্ট পৌছে দেয়া এবং এ অবস্থায় সবাই সচেতন থাকা। এতে ঘরোয়া পরিবেশে মুনছুরাবাদে উদ্বোধন হবে আজ। পাচঁলাইশ অফিসে উদ্বোধন হবে ৩০ মার্চ।
তবে এই অনুষ্ঠানে উর্ধতন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকছেন না। তবে নিজেরাই (আমরা) উদ্বোধনী এ অনুষ্ঠান ঘরোয়াভাবেই শেষ করবেন বলে জানান তিনি।
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মুনছুরাবাদ চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, ই-পাসপোর্টের কার্যক্রম শুরু করতে নির্দেশনা মোতাবেক উদ্বোধনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। নতুন ই-পাসপোর্ট সিস্টেমে ভোগান্তি অনেকাংশে কমে আসবে। তাছাড়া এই কার্যক্রম চালু হলে দ্রুত পাসপোর্ট পেতেও ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
পাসপোর্ট অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার পর এবার চট্টগ্রাম বিভাগেও ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিভাগের যেসব অফিসে কার্যক্রম শুরু হচ্ছে সোমবারা থেকে। ইতিমধ্যে ই-পাসপোর্টর নানাবিধ সরঞ্জামগুলো চট্টগ্রামের বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস, মুনছুরাবাদে এসেছে।
সোমবার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, চান্দঁগাও উদ্বোধন হওয়ার কথা থাকলেও পরিবর্তন করে সেটি ৩০ মার্চ হবে। তাছাড়া এসব অনুষ্টান বিভিন্ন তারিখে উদ্বোধন করার কথা ছিল ২৩ মার্চ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ (এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি,পিএসসি)।
করোনা ভাইরাসের কারণে ছোট পরিসরে করছেন সোমবারের মুনছুরাবাদের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। এতে কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম বিভাগের ই-পাসপোর্টের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল মোহাম্মদ নুরুল আলমসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা। বাকি অনুষ্ঠান এখনও বহাল রয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে ২৫ মার্চ নোয়াখালী ও ফেনীর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন ই-পাসপোর্ট ও সয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (পিডি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান খান (এনডিসি, পিএসসি) এবং ২৯ মার্চ কুমিল্লা অফিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ (এনএসডব্লিউসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি)।
পাসপোর্ট অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ এশিয়ার বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। একইভাবে এ পাসপোর্ট চালুর ক্ষেত্রে বিশ্বে ১১৯তম দেশ। বর্তমানে ৬ মাসের বেশি মেয়াদ থাকা মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট বা এমআরপি পাসপোর্ট যাদের আছে তাদের ই-পাসপোর্ট দেওয়া হবে না। মেয়াদোত্তীর্ণ অথবা নতুন করে আবেদনকারীদের দেওয়া হবে ই-পাসপোর্ট।
Leave a Reply