করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ হয়েছে কি না, তা জানার জন্য সন্দেহভাজনকে প্রথমে রাখা হয় কোয়ারেন্টাইনে। সন্দেহের মাত্রা কম হলে হোম কোয়ারেন্টাইনের কথা বলা হলেও যাদের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি থাকার সম্ভাবনা প্রবল, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে লক্ষণ-উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগপর্যন্ত তাদের রাখা হয় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তাই কোয়ারেন্টাইনের বেশ গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ আবাসস্থল, সংক্রমণের পরিমাণ বাড়লে যার ঘাটতি দেখা দিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
বিসিবি জানিয়েছে, কোয়ারেন্টাইনের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও মিরপুর একাডেমি। সরকার চাইলে এই দুই ভবনের সুবিধাদি কোয়ারেন্টাইনের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে কোনো আপত্তি নেই দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী ক্রীড়া সংস্থার।
করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে দেশের সব ধরনের ক্রিকেট বন্ধ। আইসিসি আগামী জুন পর্যন্ত তাদের সব ইভেন্ট স্থগিত করেছে। অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগও। যার ফলে মিরপুর স্টেডিয়ামে চিরায়ত ব্যস্ততা নেই। খেলোয়াড়-কোচ, কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীদের আনাগোনা নেই। ফাঁকা পড়ে আছে ক্রিকেটপাড়া।
আর তাই মিরপুর স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় এগিয়ে আসার ব্যাপারে ভাবছেন বিসিবির নীতিনির্ধারকরা। আনুষ্ঠানিকভাবে মিরপুর স্টেডিয়াম ও একাডেমিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র ঘোষণার জন্য বিসিবি এখন সরকারের প্রয়োজন ও চাহিদার দিকে নজর রাখছে।
পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইডেন গার্ডেনসসহ চারটি স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এবার সেই পথে হাঁটল বিসিবিও। ইতিপূর্বে রাজশাহী বিভাগের তিনটি স্টেডিয়ামকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যদিও রাজশাহীতে এখনো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দৃশ্যমান হয়নি।
Leave a Reply