লোকশূণ্য ঠাকুরগাঁওয়ের রাজপথ

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : সারবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে (কোভিড-১৯) করোনা ভাইরাস। সেই সাথে বেড়েই চলেছে আতঙ্ক। ইতিমধ্যে বাংলাদেশে ৪৮ জনের শরীরে এই করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইইডিসিআরের পরিচালক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। আর এ আতঙ্কের মাঝেই ধীরে ধীরে ফাঁকা হতে শুরু করেছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের সড়কগুলো। শহরের রাজপথ গুলিতে দাড়ালেই মনে হবে যেনো জনমানব শুন্য কোন শহর।

শুক্রবার (২৭ মার্চ) শহরের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা যায়, বিভিন্ন জনসমাগম এলাকাগুলো একবারে নির্জন হয়ে রয়েছে। সব রাস্তাই যেন লোকশূন্য। হঠাৎ চোখে পড়তে পারে দু একটি রিকশা চালক। বন্ধ হয়ে রয়েছে সকল দোকানপাট। এ যেনো স্বেচ্ছায় নির্বাসন।

অপরদিকে এই ভাইরাসের সংক্রামন এড়াতে ঠাকুরগাঁওয়ে জোরদার করা হয়েছে সেনাবাহিনীর টহল। ইতিমধ্যে সমগ্র জেলা জুড়ে ২৫০ সদস্যের সেনাবাহিনীর কয়েকটি দল কাজ শুরু করেছে। বিদেশ ফেরত প্রবাসী হোম কোয়ারাইন্টাইনের বিষয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি একসঙ্গে একাধিক ব্যক্তি চলাচল বন্ধ,বাজার মনিটরিং সহ সকল দিকেই নজর রাখছেন তারা।

শহরের চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় রিকশা চালক আমেনালের সাথে। সকলকে ঘড়ে থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে আপনি কেন বাহিরে এমনি একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিকাশা না চালাইলে কিভাবে চলবো। খাওয়ার পাবো কিভাবে। আমরা দিনমজুর, দিন আনি দিন খাই। আজ রাস্তায় লোক নেই,তাই আমাদের ভাড়াও নেই তেমন। কিভাবে কি করবো একমাত্র উপর আল্লাই যানে।

কথা হয় আরেক রিকশা চালকের সাথে তিনি জানান,শুনেছি এই ভাইরাসের কথা। কিন্তু ঘরে থাকলে কে খাওয়াবে আমাদেও ? কিভাবে দিন পার করবো। আজকেই রাস্তায় লোক নাই । না যানি কাল কি হবে। হয় ভাইরাসে মরবো না হয় না খেয়ে,কি আর করার।

এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান,ইতিমধ্যে আমাদের জেলায় প্রায় অনেক মানুষই ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। আমরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকলকে বলা হয়েছে যারা অসহায় দরিদ্র তাদের তালিকা করার জন্য। যদি কখনো লকডাউন করা হয় তাহলে এই তালিকার ভিত্তিতে তাদরে পাশে থাকার চেষ্টা করবো। সেই সাথে সমাজের ধনী-বিত্তবান যারা আছেন তারাও যাতে সে সময়ে দরিদ্রদের পাশে এগিয়ে আসেন এটাই আহ্বান করছি।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *