সাধারণ ছুটির এই সময়ে শ্রমজীবী জনসাধারণ কর্মহীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। জীবিকার সন্ধানে ঝুঁকি নিয়ে কেউ কেউ বের হলেও জনশূন্য নগরীতে তারা আয় উপার্জনের কোন উৎস খু্ঁজে পাচ্ছে না। অথচ এই শ্রমজীবীদের আয়ের টাকাতেই তাদের পরিবার পরিজনের জুটবে আহার।
এই সময়ে নগরীর সড়ক পথ,অলিগলিতে রিক্সা দেখা যাচ্ছে , তবে তাতে তেমন যাত্রী দেখা যাচ্ছে না। ভিক্ষুক দেখা যাচ্ছে কিন্ত তাদেরকে টাকা দেয়ার মত লোকের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না।
আজ শনিবার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২ টার সময় চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গৃহীত চসিকের কার্যক্রম তদারকি করার সময় শ্রমজীবী মানুষের এই করুন অবস্থা দেখে বিচলিত হয়ে পড়েন।
মেয়র সড়কের বিভিন্ন মোড়ে গাড়ি থামিয়ে শ্রমজীবী রিক্সাচালক,দিনমজুর, ভিক্ষুকদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ করেন। নগরীর আন্দরকিল্লা , চেরাগী পাহাড় , কাজীর দেউড়ি, লালখান বাজার মোড় এলাকায় বিমর্ষ মুখে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রমজীবীদের প্রত্যেকের হাতে নগদ একশ টাকা করে বিতরণ করেন।
মেয়র বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। দেশের সব লোক এখন ঘরবন্দী। কিন্ত যারা দিনে এনে দিনে খায়, যাদের কাছে কাড়ি কাড়ি টাকা নেই। তারা তো আর বাজার সওদা মজুদ করতে পারেনি। দৈনিক আয় রোজগারই তাদের একমাত্র ভরসা। হয়ত খবর নিলে দেখা যাবে নিম্নজীবী এই মানুষগুলোর দিন কাটছে অনাহারে অর্ধাহারে। এই দুঃসময়ে সমাজের প্রত্যেক বিত্তবান মানুষ, বিভিন্ন ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানকে মানুষের সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। সরকারের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ সহায়তার মধ্য দিয়ে করোনা সংক্রমণের এই ক্রান্তিকাল কাটিয়ে উঠতে হবে।
Leave a Reply