গৌতম চন্দ্র বর্মন,ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা ভাইরাসে একই পরিবারের ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সন্দেহভাজনদের মাঝে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রাথমিক লক্ষণ সমূহ পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে এক জনের অবস্থা গুরুতর।
শনিবার (২৮ মার্চ) বিকালে তাদের এ্যাম্বুলেন্সে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনার কয়েক ঘণ্টা ঠাকুরগাঁওয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অসুস্থ্যরা হলেন সদর উপজেলার চিলারং ইউনিয়নের ভেলাজান নদীপাড়ার বাসিন্দা (৩০) ও তার স্ত্রী (২৪) আড়াই বছরের কন্যা সন্তান ও ছোট ভাই এবং তার স্ত্রী। এদের মধ্যে একজন (৩০) ঢাকায় রেস্তোরায় কাজ করতেন। গত ১৩ মার্চ ঢাকা থেকে মাদারীপুর পিকনিকে গিয়ে অনেক মানুষের সংস্পর্শে আক্রান্ত হওয়ার কথা সন্দেহ করা হচ্ছে। পিকনিক থেকে ফেরার পরই তার জ্বর শুরু হয়। জ্বর নিয়ে কয়েকদিন আগে ট্রেন যোগে ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে আসেন তিনি। বাড়িতে আসার পর তার জ্বর বাড়তে থাকে, সেই সাথে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট ও পাতলা পায়খানা। একই সমস্যা দেখা দেয় তার স্ত্রী ও কন্যা শিশুর ।
বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে
যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল বলেন, প্রথমে অসুস্থ ৩ জনকে ও পরে ২ জনকে সরকারি এ্যম্বুলেন্সে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে আনা হয়েছে। আমাদের চিকিৎসক দল তাদের ক্লিনিকালি পরীক্ষা করেছেন। ঢাকা আইইডিসিআর-এ যোগাযোগ করা হয়েছে। রংপুর জেলায় তাদের একটি বিশেষজ্ঞ দল অবস্থান করছেন। তারা রোগীদের দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করবেন। ৫ জন রোগীর মধ্যে একজনের শরীরে অক্সিজেনের স্বল্পতা রয়েছে বলে জানান ডা. নাদিরুল আজিজ চপল। সন্ধ্যার পর তাদের ৫ জনকেই রংপুর পাঠানো হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম ও সদর ইউএনও আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, ঐ এলাকার লোকজনকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে।
Leave a Reply