শশুরবাড়ি টেকনাফ থেকে ঢাকায় ফেরার পর এক র্যাব সদস্যের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় তার সংস্পর্শে আসা টেকনাফের ১৫টি বাড়ি ও দোকান লকডাউন করেছে উপজেলা প্রশাসন। এরমধ্যে রয়েছে সাতটি দোকান ও আটটি বাড়ি। করোনা শনাক্ত হওয়া র্যাব সদস্যের শ্বশুরবাড়ি টেকনাফে। কিছু দিন আগে তিনি এখানে বেড়াতে এসেছিলেন, পরে ঢাকায় তার করোনা শনাক্ত হয়।
শুক্রবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে টেকনাফ পুরাতন পল্লানপাড়ার বাড়ি ও দোকানগুলো লকডাউন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় করোনা শনাক্ত র্যাব সদস্যের শ্বশুরবাড়ি টেকনাফে। কিছু দিন আগে এখান থেকে ফিরে যাওয়ার পর ঢাকায় তার করোনা শনাক্ত হয়। ফলে তার সংস্পর্শে আসা ১৫টি বাড়ি ও দোকান লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
জানা গেছে, ওই র্যাব সদস্য কয়েক দিন আগে টেকনাফ পৌরসভার পুরাতন পল্লানপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসেন। এরপর গত ২৬ মার্চ তিনি ঢাকায় ফেরেন। ঢাকায় গিয়ে তিনি সর্দি, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন।
পরে ৩ এপ্রিল ঢাকায় পরীক্ষা করলে তার শরীরে কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া যায়। পরে তাকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়।
এরই সূত্র ধরে শুক্রবার রাতেই টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে একটি টিম র্যাব সদস্যের শ্বশুরবাড়ি এলাকার বাড়ি ও দোকান লকডাউন ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ‘শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় এক র্যাব সদস্য ঢাকায় আইসোলেশন ইউনিটে রয়েছেন। তার সংস্পর্শে আসা টেকনাফের ১৫টি বাড়ি ও দোকান লকডাউন করা হয়েছে। শনিবার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজারে পাঠানো হবে।
Leave a Reply