করোনা মেকাবিলায় সরব ফটিকছড়ির মেয়র ইসমাঈল

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র ইসমাঈল হোসেন। মেয়র হিসাবে তিনি ২য় বারের মত দায়িত্ব পালন করছেন। বরাবরই জনগণের পাশে ছিলেন বলেই ভোটযুদ্ধে জয়ের মালা গলায় উঠেছে তার। জনসেবায় নিয়োজিত এই মেয়র রাতদিন সকল প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে ছুটে চলেছে।

করোনা মোকাবিলায় ফটিকছড়ির যে ক’জন জনপ্রতিনিধি শীর্ষে অবস্থান করছে, তাদের মধ্যে অন্যতম মেয়র ইসমাঈল হোসেন। বৈশ্বিক মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে দিনরাত জনগণকে ঘরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। পৌর এলাকার পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সচেতন করতে রীতিমত যুদ্ধ করছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পৌরসভার প্রত্যেকটা ওয়ার্ডে ছুটে বেড়াচ্ছেন।

পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে গিয়ে গিয়ে সাধারণ মানুষকে ঘরে থাকতে পরামর্শ দেয়ার সাথে খোঁজ রাখছেন অসহায় দুস্থ মানুষদেরও। কখনো ব্যক্তিগত তহবিল নতুবা পৌর পরিষদ থেকে বিতরণ করছেন খাবার সামগ্রী। এ পর্যন্ত ২৫০০দুস্থদের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে খাদ্যদ্রব্য। আরো ১হাজার দুস্থ- অসহায়দের মাঝে খাদ্যদ্রব্য বিতরণের প্রস্তুতি চলছে।

বর্তমান পরিস্থিতিতে যেখানে জটলা বা জমায়েতের খবর কানে আসে, তাৎক্ষণিক সেখানেই ছুটে যান তিনি। সেটা হোক দিন কিংবা রাতের সময়।

এই আত্মবিশ্বাসী মেয়র একা ছুটতে চাইলেও তার ভালোবাসার সঙ্গী কম নয়। যেখানেই যান ছুটে আসে লোকজন। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রোধে এখন সবাইকে সঙ্গরোধে থাকতে বিনয়ী অনুরোধ করছেন তিনি। সরকারি নির্দেশনা মেনে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস থেকে বাঁচতে করনীয় তথ্য নিজেই মাইকিং করেছেন।

এ ব্যাপারে মেয়র আলহাজ্ব ইসমাঈল হোসেন বলেন- যা করছি এটা আমার দায়িত্ব। দেশের মানুষকে সুস্থ, ভালো রাখতে এই দূর্যোগ মূহুর্তে আমার পাশে অন্যরাও আছে। সবাইকে নিয়ে করোনা মোকাবিলায় যেভাবে কাজ করছি, ইনশাআল্লাহ এই প্রাণঘাতি ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধ করা সম্ভব হবে।

তিনি আরো জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এলাকার মানুষদের সচেতন করা বেশি জরুরী। সেই লক্ষ্যে দিনরাত কাজ করছেন। এজন্য তাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসি, আওয়ামী লীগ,যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এসময় মেয়র ইসমাঈল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনানুযায়ী প্রত্যেক জনপ্রতিনিধিকে দেশের দুর্যোগময় এই মূহুর্তে জনগণকে সচেতন করতে এবং তাদের পাশে থাকতে আহ্বান জানান।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *