কক্সবাজারে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে ২০ হাজার ইয়াবা

কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে লাশবাহী এ্যাম্বুলেন্সে ২০ হাজার ইয়াবা পাওয়া গেছে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার (৫ এপ্রিল) বিকালে শহরের প্রবেশমুখ লিংক রোডস্থ কুদরত উল্লাহ সিকদারের অফিসের সামনে থেকে এসব ইয়াবা উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

এ সময় আটককৃতরা হলো- টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের ১ নং ওয়ার্ডের উলুবনিয়া মধ্যমপাড়া (আঃ ছালামের বাড়ী) বাসিন্দা ইউসুফ আলীর ছেলে মোঃ আব্দুস শুক্কুর প্রকাশ সাইফুল (২৬), ভোলা তজুমুদ্দিন কোরালমারা এলাকার খাসেরহাট বাংলাবাজারের পাশের লামচি (রারী বাড়ী) বাসিন্দা মমতাজ মিয়ার ছেলে মোঃ সোহাগ (২৩) ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়া পূর্ব নলুয়া মরফলা মোনাবর বাড়ী, কাশেম মেম্বারের এলাকার বাসিন্দা মৃত মোঃ সফির ছেলে মোঃ ইলিয়াছ প্রকাশ ইমন (৩০)।

তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ এর ৩৬ (১)এর সারণী ১০(গ)/৪১/২৬ ধারায় ৬ এপ্রিল কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা হয়েছে।

মামলার বাদি হয়েছেন ডিবি পুলিশের এসআই রাজীব কুমার সূত্রধর।

এ মামলায় পলাতক আসামী রয়েছে -উখিয়া কুতুপালং ক্যাম্প নং-৭, ব্লক-এ,টিভি টাওয়ার, এফসিএন নাম্বার-৩০০২৭১, আনছার মাঝির ব্লক এর বাসিন্দা রুস্তম আলীর ছেলে মোঃ কামাল প্রকাশ আক্তার কামাল (২৮), পালংখালী এলাকার (পালংখালী হাই স্কুলের পাশে) বাসিন্দা মোঃ আবুল বশর প্রকাশ বশর (৩২), থাইংখালী (ডিবি চেক পোষ্টের উপরে) এলাকার মোঃ মিজান (২৭) এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মাহমুদুর রহমান দাছরা (৪০)।

মামলার বাদি এসআই রাজীব কুমার সূত্রধর বলেন, কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার সাধারণ ডায়রী নং-৩১ (৫ এপ্রিল) মূলে কক্সবাজার সদর থানা এলাকায় বিশেষ অভিযান ডিউটি করার সময় কলাতলী ডলফিন মোড়ে অবস্থান করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী এ্যাম্বুলেন্সযোগে উখিয়া থেকে ইয়াবার চালানসহ চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছে।

ঝিলংজা ইউপিস্থ টেকনাফমুখি লিংক রোডে ইউপি সদস্য কুদরত উল্লাহ সিকদারের অফিসের সামনে অবস্থানকালীন সময়ে একটি সন্দেহজনক এ্যাম্বুলেন্স মাইক্রোবাস থামানো হলে গাড়ীর ভেতরে থাকা ৩ জনকে নামানো হয়।

এ সময় তারা গাড়িতে ইয়াবা আছে বলে স্বীকার করলে এ্যম্বুলেন্স এর ভেতরে বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থা থেকে ২০ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
এ্যাম্বুলেন্সটি-যাহার রেজিঃ নং-ফেনী-ছ-৭১-০০১৩, ইঞ্জিন নং-১ TR-FE-১৯৯৮, চেসিস নং-TRH – ১১২-৫০০৬৫৭১ (যাহার গায়ে আঞ্জুমান এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস লেখা আছে) জব্ধ করা হয়।

পরে জিজ্ঞাসাবাদে তারা ইয়াবাগুলো ক্রয় করে অধিক লাভে বিক্রয়ের জন্য চট্টগ্রাম শহরের দিকে নিচ্ছিল বলে স্বীকার করেছে। অপর সহযোগিদের নামও প্রকাশ করেছে।

প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে চক্রটি দীর্ঘদিন মাদক কারবারি করে আসছিলে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশ।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *