বিশ্বব্যাপী মহামারী আকার ধারণ করা প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইসের (কোভিড-১৯) কারণে মানুষ এখন ঘরবন্দী। সারাদেশের জনগণ সরকারের অঘোষিত লক ডাউনের ফলে নিজেদের সেচ্ছায় ঘরবন্দী করেছেন।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবাদে সচেতন নাগরিকগণ অন্যদের সচেতন করে যাচ্ছেন ।
বর্তমান বিরাজমান পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে দেশের মধ্যবিত্ত ও নিম্নআয়ের জনগণ। তাদের পাশে নিজের পরিচয় গোপন করে দাঁড়িয়েছেন আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবী সংগঠন এপেক্স ক্লাবস অব বাংলাদেশের জেলা-০৩ এর গভর্নর এপেক্সিয়ান এম বেলাল হোসাইন। অসহায় মানুষের কাছে প্রতিনিয়ত পৌঁছে দিচ্ছেন খাদ্যসমগ্রী। দেশে চলমান সংকট নিয়ে চিন্তিত তিনি৷
দেশের মানুষকে করোনার ভয়াবহতা থেকে রক্ষায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বেশ কয়েকবার বার্তাও দিয়েছেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষদের সহস্রাধিক মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও বিতরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে যখন সকলে হোম কোয়ারান্টাইনে তখন দিন রাত ত্রাণ নিয়ে অসহায় মানুষের কাছে ছুটছেন। গেল কয়েকদিন ধরেই এই কাজটি অব্যাহত রেখেছেন তিনি।
এপর্যন্ত প্রায় ৬০০ পরিবারকে সাপ্তাহিক, পাক্ষিক ও মাসিক বাজার করে দিয়েছেন সম্পূর্ণ নিজ অর্থে।
এছাড়া চট্টগ্রামে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে হাত ধোঁয়া কর্মসূচী পালন করেছেন। আসুন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকি, নিজেকে সুস্থ রাখি এই স্লোগানে নগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে হাত ধোয়ার জন্য স্থায়ী ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বলেন,দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মানুষের অসহায়ত্বের খবর দেখার পর নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। তাই নিজেই ত্রাণ নিয়ে এগিয়ে এসেছি মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে। এই মুহুর্তে কারো দিকে চেয়ে থাকার সময় নাই। এই দূর্যোগ মোকাবেলায় সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। অসহায় মানুষদের কষ্ট দেখে শুধু একটা কথাই বার বার মনে হয়েছে সৃষ্টির সেরা জীব হয়ে আশরাফুল মখলুকাত হয়ে এখন যদি মানুষের পাশে না দাঁড়াতে পারি তবে কখন দাঁড়াবো? তাদের পাশে দাঁড়ানো নৈতিক দায়িত্বের মাঝে পড়ে। খাবারের অভাবে যেন একটি প্রাণও অকালে হারিয়ে না যায় সেটিই ভেবেছি বারবার।
তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেরাই কেবল নিজেদের এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারি।করোনা প্রতিরোধে আমাদের সচেতন হতে হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সব বিষয় বিবেচনা করে আমি বর্তমানে কয়েকটি মুদি দোকানে মধ্যবিত্তদের বাজার করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। যেন কাউকে কষ্ট পেতে না হয়। কয়েকটা দিনের ব্যাপার মাত্র। সবাই একটুখানি সতর্ক হলে বেঁচে যাবে হাজারও প্রাণ। আমাদের উন্নত বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত। উন্নত দেশগুলো করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে।আমরা এখন সচেতন নই। সবার ঘরে থাকা উচিৎ এবং বাহিরে যেতে অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভস সহ করোনা প্রতিরোধে অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করা উচিৎ ।
এপেক্সিয়ান বেলাল এপেক্স বাংলাদেশ’র জেলা-০৩ এর অন্তর্গত প্রতিটি ক্লাবকে অতীতের ন্যায় এই দুর্যোগকালীন সময়ে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এবং সকলকে সতর্কতা অবলম্বন করে চলাচলের অনুরোধ করেছেন।
Leave a Reply