২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি || দক্ষিণ চট্টগ্রামের বৃহত্তর উপজেলা পটিয়াতে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। সনাক্ত হওয়া রোগীটি ৬ বছরের প্রতিবন্দি শিশু বলে জানা গেছে।
উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড ওসমান পাড়ার এক প্রবাসীর বাড়িতে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মেলে।
রবিবার রাত ১০ টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের ব্রিফিংএ পটিয়া উপজেলায় প্রথম কোবিড-১৯ করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের খবরটি জানার পর থেকে পুরো পটিয়াবাসীর মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর নিজ এলাকাবাসীও উৎকন্ঠায় রয়েছেন।
অবশেষে রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলা প্রশাসন ও পটিয়া থানা পুলিশের একটি টিম হাঈদগাঁও ইউনিয়নে আক্রান্ত রোগীর বাড়ি ও তার আশে পাশের অর্ধশত পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন।
করোনা আক্রান্ত প্রতিবন্ধি শিশুটির বাবা ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, গত ২ মাস আগে ওমান থেকে দেশে ফিরেছেন তার শালারা। কয়েকদিন আগে থেকর তার ছেলের বেশি অসুখ দেখা দিলে গত শনিবার দুপুর বারোটার সময় পটিয়া হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়া হয়।
কর্তব্যরত চিকিৎসক করোনা অনুমান করে শিশুটির থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করে। রোববার সন্ধ্যার পরে চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক করোনা পজেটিভ নিশ্চিত করেন এবং রাতে জেলা সিভিল সার্জনও তার নিয়মিত প্রেস ব্রিফে তা নিশ্চিত করে।
পটিয়া উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, পটিয়া উপজেলায় করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার পর চট্টগ্রাম থেকে রোববার রাত ১২টার সময় জরুরি ভিত্তিতে ১টি অ্যমবুলেন্স পাঠানো হয়।
পটিয়া সহকারী কমিশনার ভুমি ইনামুল হক এর উপস্থিতিতে থানান এস আই নুরুল আমিনন, আক্কাস উদ্দিনসহ একদল পুলিশের সহায়তায় আক্রান্ত শিশুটিকে চট্টগ্রামে নিদ্দিষ্ট হাসপাতালে প্রেরন করা হয়।
রোগীর দাদী প্রতিবেদককে জানান রোববার বিকেল থেকে তাদের নাতীর অবস্থা ভালো ছিলো না।
পটিয়া সহকারী কমিশনার ভুমি ইনামুল হক জানান, থানা পুলিশের সহায়তায় উপজেলা প্রশাসন উপজেলার হাঈদগাঁও ইউনিয়ন করোনা আক্রান্ত এলাকার অর্ধশত পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন।
এসময় প্রসাশনের পাশাপাশি উপজেলা আ,লীগ নেতা বিএম জসীম এবং উপজেলা যুবলীগ নেতা আবুল হাসনাত ফয়সাল, দঃ জেলা ছাত্রলীগ নেতা মোরশেদুল আলম অভি উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রামে গতকাল ১২ এপ্রিল রবিবার পর্যন্ত মোট ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত রোগীর খবর নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক। এরমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়।
২৪ঘণ্টা/সঞ্জয় সেন/আর এস পি
Leave a Reply