অ আ আবীর আকাশ:::চীন ষড়যন্ত্র করে বিশ্বব্যাপী করোনা ছেড়েছে তারা আধিপত্যতা বিস্তার করার জন্য। সে নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করবো না। তবে করোনাভাইরাস বিশ্বের লক্ষাধিক প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, প্রতিদিন প্রতিমুহূর্তে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ সে মৃত্যুর মিছিলে, শবযাত্রায় শামিল হয়েছে। জানিনা এর শেষ কোথায়? মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ব্যতীত এ থেকে কোন পরিত্রান পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবুও সতর্কতার জন্য যৎসামান্য ছয়টি টিপস উল্লেখ করছি। আশা করছি ডিসি-এসপিরা উভয় মিলে এটিপস অনুসরন করলে করোনা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
১. জেলা উপজেলা লকডাউন করা। লকডাউন মানে পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদকর্মী, ঔষধ সরবরাহ জড়িত গাড়ি, বাইক ছাড়া একদম সকল প্রকার যানবাহন নিষিদ্ধ করতে হবে। এমনকি বাইসাইকেল রিক্সাও নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. যে সমস্ত ওয়ার্ড ইউনিয়ন বা উপজেলা করোনা শনাক্ত করা হয়েছে, সাথে সাথে সেসব অঞ্চল বা উপজেলা লকডাউন করে দিতে হবে। প্রয়োজনে ওই সমস্ত এলাকায় কারফিউ জারি করতে হবে। ঔষধ চিকিৎসা প্রয়োজন হলে প্রশাসন তা ব্যবস্থা করবে।
৩. দেশের দুর্যোগকালীন মুহূর্তে জেলা উপজেলার বাসিন্দা বাহিরে যেতে পারবেনা। আবার বাহিরে থাকলে ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেনা। কোন প্রকার মেহমানদারী করা যাবেনা। কেউ কারো বাড়ীতে বা ঘরে যাবে না। যে যেখানে যে অবস্থায় আছে সে সেখানে সে অবস্থায় থাকবে।
৪. পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স, সংবাদকর্মী, ঔষধ সরবরাহ জড়িত গাড়িতে কতজন ব্যক্তি জেলা-উপজেলায় প্রবেশ করে তা নজরে রাখতে হবে। এম্বুলেন্সে করে সাধারন মানুষ যাত্রী রোগী সেজে যাতায়াত করে। এমনও হতে পারে করোনা আক্রান্ত রোগীরা সাধারণ রোগী সেজে জেলা-উপজেলায় প্রবেশ করে। যানবাহন চলাচল বন্ধের ভেতরেও কিভাবে করোনা গুদাম ঢাকার কয়েকটি স্পট ও নারায়ণগঞ্জ থেকে রোগীরা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে? ইতোমধ্যে লক্ষ্মীপুরের রামগতি, কমলনগর, রায়পুর ও রামগঞ্জ উপজেলায় ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে গার্মেন্টস কর্মীরা প্রবেশ করেছে! এদের মধ্য থেকে রামগঞ্জ ও রামগতি উপজেলায় দুজন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। যদি প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকতো, জেলা-উপজেলা লকডাউন থাকতো, তাহলে বাহির থেকে এই দুর্যোগ চলাকালীন সময়ে কোন গার্মেন্টসকর্মী, কোন আত্মীয় লক্ষ্মীপুরে প্রবেশ করার সুযোগ পেত না। এসব বিষয়ে চতুর দৃষ্টি থাকলে এরা জেলায় প্রবেশ করতে পারত না। আশা করছি অ্যাম্বুলেন্স ও পণ্যবাহী ট্রাকের দিকে প্রশাসনের তীক্ষ্ণ নজরদারি থাকবে, কারণ এরা ভাড়ায় যাত্রী আনা-নেওয়া করে।
৫. যে সমস্ত জেলা বা উপজেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে (যেমন লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও রামগতি) তাদের জেলা ও অন্য উপজেলা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা করে ফেলতে হবে। পূর্বেই বলেছি লকডাউন না বুঝলে সরাসরি কারফিউ ঘোষণা করে তাদের পৃথক রাখতে হবে।
৬. করণা শনাক্ত জেলা-উপজেলার লোক জরুরি প্রয়োজনেও অন্য জেলা-উপজেলায় বা অঞ্চলে প্রবেশ করতে দেয়া যাবেনা। প্রকাশ্যে ঘরের বাহিরে পেলেই শারীরিক শাস্তি ও জরিমানা তাৎক্ষণিক প্রয়োগ করতে হবে।
এতে করে আশা করা যাচ্ছে সকল মানুষ যদি নিজ নিজ ঘরে ঢুকে যায়, অথবা যে যেখানে যে অবস্থায় আছে সে সেখানে সে অবস্থায় থাকলে ইনশাল্লাহ বাংলাদেশ থেকে দ্রুত এই ভাইরাস নিস্প্রভ হয়ে যাবে। নইলে চরম অবহেলায় হারাতে হবে আপনজনদের, প্রিয়জনদের। আমরা কেউ কাউকে অকালে অবহেলায় হারাতে চাই না। মহান আল্লাহপাক সবাইকে হেফাজত করুক, আমিন।
** লক্ষ্মীপুরের প্রশাসনের প্রতি আহবান জানিয়েছি ৭ তারিখে লক্ষ্মীপুর জেলাকে লকডাউন করার জন্য। কেউ যেন জেলা থেকে বের হতে না পারে। আবার কেউ যেনো জেলায় প্রবেশ করতে না পারে। কিন্তু সময় মতো প্রশাসন উদ্যোগ না নেয়ায় জেলার দুই উপজেলায় ভাইরাস প্রবেশ করেছে।
*** এবারও বলছি প্রশাসনের উদ্দেশ্যে- যেসব উপজেলায় ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে দ্রুত সে সব উপজেলা লকডাউন করুন। এতে কাজ না হলে কারফিউ জারি করুন। কাউকে ঘরের বাহিরে পেলে তাৎক্ষণিক শারীরীক শাস্তি প্রয়োগ করে ও জরিমানা আদায় করুন। হেলায় সময় হারিয়ে বাংলাদেশকে কেউ মৃত্যুপুরীর দিকে নিয়ে যাবেন না প্লিজ।
লেখক: কবি কলামিস্ট ও সাংবাদিক।
abirnewsroom@gmail.com
Leave a Reply