নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলম (৪৫) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর আগে জেলা সদরে অবস্থিত প্রাইম হসপিটালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি প্রাইম হসপিটাল কৃর্তপক্ষ গোপন করায় ও জনগণের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে হসপিটালটি লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টার পর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো মোমিনুর রহমান।
তিনি জানান, ইতালি প্রবাসী মোরশেদ আলম গত ৫ এপ্রিল প্রাইম হসপিটালের ৫০৪ নং কক্ষে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরবর্তীতে গত ৮ এপ্রিল তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এবং ৯ এপ্রিল সকালে ঢাকা নেওয়ার পথে ওই প্রবাসীর মৃত্যু হয়।
পরে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে মৃতের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। গত শনিবার পরীক্ষায় ওই প্রবাসীর করোনা প্রজেটিভ আসে।
তিনি আরও বলেন, প্রাইম হসপিটাল কর্তৃপক্ষ রোগীর নমুনা সংগ্রহ করার জন্য সিভিল সার্জন অফিসে না জানিয়ে তথ্য গোপন করেছে। তাই জনগণ ও ভর্তিকৃত রোগীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে প্রাইম হসপিটালকে আগামী ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
একই সাথে প্রতিষ্ঠানটি সম্পূর্ণ খালি করে জীবানুমুক্ত করে সকল চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply