সনজয় সেন,পটিয়া প্রতিনিধিঃ বুধবার দুপুরে এক প্রজ্ঞাপন জারি করে পটিয়ার একমাত্র প্রাইভেট হাসপাতাল পটিয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালটি ৭দিন বন্ধ রাখা এবং ডাক্তার ১৪দিন হোম কোয়ারেইন্টিন থাকার নির্দেশ প্রদান করেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা জাহান উপমা।
এছাড়া বুধবার দিনগত রাত ১.৩০ ঘটিকায় পটিয়া পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাগজীপাড়া নাইখাইন রোডের ১২ টি ঘর (পরিবার মোট ১৪টি, সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫০ জন) লকডাউন করা হয়। আগামী ১৪দিন এই ঘরগুলোর কোন সদস্য এখান থেকে বের হতে বা নতুন কেও এখানে প্রবেশ করতে পারবেন না।
আক্রান্ত রোগীকে চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এসময় রোড সংলগ্ন এলাকায় লাল পতাকা টাকানো হয় ও আপাতত ২০ কেজি চাল, ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়। এলাকার মসজিদ থেকেও মাইকিং করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার আরো মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার, পুলিশ, ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর ডাক্তার, ও ১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
আক্রান্ত ব্যক্তির এক আত্মীয় দুই মাস আগে বিদেশ থেকে এসেছেন বলে জানা যায়। কিন্তু, সদ্য অন্য কোন বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শে তিনি আসেননি বলে জানা যায়।
লকডাউনকৃত ব্যক্তিরা ছাড়া আক্রান্ত ব্যক্তির স্বামী/পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা গত কয়েকদিনে যাদের সংস্পর্শে এসেছেন তাদের আবশ্যিকভাবে আগামী ১৪দিন হোম কোয়ারেন্টাইন এ থাকতে হবে। আক্রান্ত রোগীর পরিবারের সদস্যদের সাথে যাদের সংস্পর্শ হয়েছিল তাদের তালিকা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য পটিয়ার হাইদগাঁও ১ নং ওয়ার্ডে ওসমান পাড়া এক ৬ বৎসরের শিশু মারা যায়। পরে ২০০০ পরিবার কে লকডাউন করে দেন।
Leave a Reply