রায়পুর বস্তাবন্দী মহিলার খু‌নের রহস্য উ‌ম্মোচন: প্রেমিক যুগল ও এক শিশু জড়িত!

অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :::: লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে বৃদ্ধাকে হত্যা করে মরদেহ খালে ফেলে দেয়ার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এ ঘটনায় প্রেমিক যুগল সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৬ নং কেরোয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ২ নং ওয়ার্ডের আমিন উদ্দিন মুন্সি বাড়ির মোঃ জাকির হোসেনের ছেলে ইমন (১৭) একই বাড়ির মোঃ আক্তার হোসেনের মেয়ে আসমা আক্তার আয়েশা (১৭) নামের এই দুই তরুণ-তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। তাদের প্রেমকে সফলতার রূপ দিতে পালিয়ে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ সঙ্কট। অর্থ সঙ্কট কাটাতে প্রেমিকার বাড়ীর মাহফুজা খাতুনের (৫৫) স্বর্ণালংকার লুটে নেয়ার ফন্দি করে তারা।

পরিকল্পনার দুইদিন পর ইমন ও আজিজ (১২) বৃদ্ধা মাহফুজার বাড়ির পাশে ওঁৎ পেতে থাকে। ঘটনার দিন (১৬ অক্টোবর ২০১৯) হাঁটতে বের হলে ইমন মাহফুজাকে তাদের ঘরে ডেকে নেয়।

একপর্যায়ে ইমন ও আজিজ তার গলায় গামছা পেঁছিয়ে হত্যা করে। পরে বস্তাবন্দী করে লাশ রান্না ঘরের পেছনের বাগানে ফেলে দেয়। বৃদ্ধার ছেলেরা খোঁজাখুঁজি করেও মাকে পাচ্ছিল না। এসব দেখে ইমন ও আজিজ পরিকল্পিতভাবে বস্তাবন্দী লাশ টেনে নিয়ে পাশ্ববর্তী খালে ফেলে দেয়। পরে (১৭ এপ্রিল) পুলিশ বস্তা টেনে নেয়ার চিহ্ন দেখে খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

পিবিআই নোয়াখালী সূত্র জানায়, ঘটনার রহস্য উদঘাটনে বৃহস্পতিবার ইমন ও তাদের বার্তা বাহক আজিজ নামের এক কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্যে আয়েশাকেও গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. জহিরুল হক।

নিহত বৃদ্ধার ছেলে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মো. আবদুল ওয়াদুদ শিপন বলেন, আমার মায়ের হত্যাকাণ্ডে কোন অগ্রগতি না পেয়ে মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করার জন্য পুলিশ হেডকোয়াটার্স এ আবেদন করি। পিবিআই এর তদন্তে মায়ের হত্যার রহস্য উদঘাটন হলো। পরিকল্পিত এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করি।

পিবিআই নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বসু দত্ত চাকমা বলেন, আসামিরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

২৪ ঘণ্টা/এম আর/আকাশ

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *