রাজীব সেন প্রিন্স:::প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে, নিহত-আক্রান্ত, কোটি কোটি টাকার প্রনোদনা, হাজার হাজার পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছে অমুক, বিশেষ সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে অমুক সংগঠন।
বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছে অমুক প্রতিষ্ঠান, নিরাপত্তা দিচ্ছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, সুরক্ষা ও সেবা দেবে অমুক চিকিৎসক, নার্স এর করুণ অবস্থা)) প্রতিদিন এমন অনেক কাহিনী লিখে প্রকাশ করছি। কারণ আমরা সাংবাদিক তাই।
তবে জীবনের মায়া ত্যাগ করে করোনা পরিস্থিতিতেও সারাদিন বাইরে থেকে দিন শেষে যখন বাসায় ফিরে তখন বাবা/ মা/ স্ত্রী/ বোন এবং সন্তানসহ পরিবারের সবাই অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। মাঝে মাঝে তাদের ছুঁড়ে দেওয়া অনেক কঠিন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে গিয়ে সৃষ্টিকর্তাকে স্মরণ করে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে হয় তাদের। কারণ আমরা সাংবাদিক।
পরিবারের কমন প্রশ্ন এত এত প্রনোদনা, এত অনুদান এত সাহায্য সহযোগীতার খবর প্রতিদিন প্রচার করে মানুষকে স্বস্তি দিলেও একবারও কি খবর রেখেছো তোমার বাবার ওষুধ কবে শেষ হয়েছে? বাসার জমানো সব খাদ্য সামগ্রীর কি অবস্থা? খাটের বিছানার নিচে জমানো টাকা গুলো কোথায়? মাস যে শেষ হয়েছে তার খবর তোমার না থাকলেও বাসার জমিদার কিন্তু ঠিকই হিসেব রেখেছে। মুদি দোকানিরাও তোমাকে দেখলে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে!
নেই, এসব প্রশ্নের কোন উত্তর নেই আমাদের কাছে/ কারণ আমরা সাংবাদিক, নীরবে সব সইবার ট্রেনিং প্রাপ্ত আমরা।
দিনশেষে শূণ্য হাতে একরাশ হতাশা নিয়েই ঘরে ফেরাটাই আমাদের প্রাপ্তি!
লেখক:রাজীব সেন প্রিন্স;ব্যুরো প্রধান,চট্টগ্রাম> দৈনিক ভোরের দর্পণ এবং বার্তা সম্পাদক >২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ।
২৪ ঘণ্টা/এম আর
Leave a Reply