নূর মোহাম্মদ হৃদয় : করোনা পরিস্থিতিতেও গুচ্ছগ্রামে রেশন বিতরনে অনিয়মের আশংকা করছেন কার্ডধারীগণ। ওজনে কম, বন্ধকী প্রথা, অউপজাতীয় এলাকায় আতপ চাল এবং উপজাতীয় এলাকায় সিদ্ধ চাল বিতরন, চাল ব্যবসায়ী সপন ডিলারের সিন্ডিকেট বাণিজ্যসহ অগণিত অভিযোগ রয়েছে যুগ যুগ ধরে। জেলার ৭২টি গুচ্ছ গ্রামের প্রায় অর্ধেক রেশন কার্ডধারীই বন্ধকী সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। তাছাড়া অগ্রিম বিক্রি তো রয়েছেই।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে গুচ্ছগ্রামে সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত রেশন সকলে পাবে না বলে জানা গেছে। কারন জেলার প্রায় অর্ধেক রেশন কার্ড বিভিন্ন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ীর নিকট বন্ধক রয়েছে। বন্ধক গ্রহীতারা রেশন কখনো দিবে না। সেক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতিতে যাতে প্রকৃত রেশন কার্ডধারীরা তাদের ন্যায্য রেশন নিজেরা পায় সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার জন্য ভুয়াছড়ি গুচ্ছগ্রামের পক্ষে ইদ্রিছ আলী হাওলাদার ও আব্দুল মান্নান উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট আবেদন জানিয়েছেন।
একই পরিস্থিতি সকল গুচ্ছগ্রামে। যদিও এখন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের তদারকিতে রেশন দেওয়া হয় তবুও অনিয়ম থামছে না।
তাই সকল গুচ্ছগ্রামবাসীর মনের কান্না, অউপজাতীয় (বাঙ্গালী) এলাকায় সিদ্ধ চাল এবং উপজাতীয় এলাকায় আতপ চাল প্রদান করা। তাছাড়া যে সকল কার্ডধরী বিভিন্ন প্রয়োজনে রেশন কার্ড বন্ধক রেখেছেন অথবা অগ্রিম বিক্রি করেছেন তাদের বন্ধকী বা অগ্রিম বিক্রিত কার্ড এর রেশন যেন এবারের মতো প্রকৃত কার্ডধারীকে দিয়ে দেওয়া হয়। এবারের রেশন বিতরন যদি সেনা বাহিনীর তত্বাবধানে হয় তাহলে কার্ডধারীরা উপকৃত হবে অন্যথায় সপন ডিলারের গোলাই শুধু ভরপুর হবে। অসহায় দরিদ্র মানুষের তেমন কোন উপকারে আসবে না।
Leave a Reply