পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে পাবনা হয়ে রাজশাহী গেল চালক ছাড়াই। পাকশী বিভাগীয় রেলের ঈশ্বরদীতে রোববার চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ঈশ্বরদী রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক লোকো মাস্টার (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন, শ্রমিক লীগের একই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও ওই ট্রেনের সহকারী লোকো মাস্টার (এএলএম) আহসান উদ্দিন আশা এবং ট্রেনের পরিচালক (গার্ড) আনোয়ার হোসেনকে তাৎক্ষণিক প্রত্যাহার করা হয়।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনের চালক (এলএম) আসলাম উদ্দিন খান মিলন ট্রেনে না উঠে তার সহকারী আহসান উদ্দিন আশাকে দিয়ে রোববার ট্রেনটি ঈশ্বরদী থেকে পাবনা হয়ে রাজশাহী পাঠান।
এ ঘটনাটি ট্রেনের গার্ড জানলেও তিনি রেল কর্তৃপক্ষের কাউকে না জানিয়ে সহকারী এলএমকে নিয়ে ট্রেনটি পরিচালনা করেন।
এ খবর জানার পর বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আব্দুল্লাহ আল-মামুন ট্রেনের গার্ডকে এবং বিভাগীয় যান্ত্রিক প্রকৌশলী (ডিএমই লোকো) আশিষ কুমার চক্রবর্তী চালক ও সহকারী চালককে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।
পাকশী বিভাগীয় রেলের এই দুই কর্মকর্তা পৃথক পৃথকভাবে এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে দেশ বলেন, ট্রেন সময়মতো না ছাড়লেও একজন পূর্ণাঙ্গ চালক (এলএম) ছাড়া কোনো ট্রেন চালানোর সুযোগ রেলওয়েতে নেই, যেটি রোববার পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেনে ঘটেছে।
চালক ছাড়া ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছার পর রেলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিক পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এ তিনজনকে অব্যাহতি দিয়ে অন্য চালক ও গার্ডকে দিয়ে ফিরতি ট্রেন পাঠান ঈশ্বরদীতে।
ফিরতি ট্রেনের যাত্রীরা এ ঘটনা শুনে আতঙ্ক ও বিস্ময় প্রকাশ করেন।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, পাবনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশন থেকে প্রতিদিন মাঝগ্রাম জংশন, দাশুড়িয়া, টেবুনিয়া স্টেশন হয়ে প্রথমে পাবনা স্টেশনে যায়। পাবনা থেকে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশন হয়ে রাজশাহী যায়। ফিরতি সময়ে রাজশাহী স্টেশন থেকে পাবনা হয়ে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে ফিরে আসে ট্রেনটি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেল সূত্র জানায়, এই নিয়ম না মেনে প্রায়ই এই ট্রেনের চালক ও রেলওয়ে শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসলাম উদ্দিন খান মিলন বাইপাস স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন, আবার মাঝেমধ্যেই তিনি তার সহকারীকে দিয়ে ট্রেন রাজশাহীতে পাঠিয়ে থাকেন।
Leave a Reply