প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর মিছিল বেড়েই চলেছে। এইরমধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৮২৪ জনে।
গত ১১ জানুয়ারিতে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়েছিল। এর প্রায় তিন মাস পর গত ১১ এপ্রিল বিশ্বে মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ছাড়ায়। এর মাত্র ১৫ দিনের মধ্যেই আরও ১ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন।
অন্যদিকে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪৯ জন। আর সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২৩ হাজার ৪৬১ জন।
মহামারি এই ভাইরাসে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ইউরোপ ও আমেরিকার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রেই আক্রান্তের সংখ্যা এখন ৯ লাখের বেশি। সেখানে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫২ হাজার ৯৪৮ জন।
এরপর করোনায় মৃত্যুতে শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে বেশিরভাগ ইউরোপের। ইতালিতে ২৬ হাজার ৩৮৪, স্পেনে ২২ হাজার ৯০২, ফ্রান্সে ২২ হাজার ২৪৫, যুক্তরাজ্যে ২০ হাজার ৩১৯, বেলজিয়ামে ৬ হাজার ৯১৭, জার্মানিতে ৫ হাজার ৮০৫ ও নেদারল্যান্ডসে মারা গেছে ৪ হাজার ৪০৯ জন।
চীন থেকে এ প্রাদুর্ভাব শুরু হলেও দেশটিতে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা এখন ৪ হাজার ৬৩২। তবে এশিয়ায় ৫ হাজার ৬৫০ মৃত্যু নিয়ে চীনের উপরে রয়েছে ইরান। তুরস্কে মারা গেছে ২ হাজার ৬০০ জনের বেশি মানুষ।
এদিকে আক্রান্তের দিক দিয়ে চীন ও ইরানের উপরে রয়েছে তুরস্ক। দেশটিতে এখন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৫ হাজার প্রায়।
এদিকে ভারত, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, ফিলিপাইন, জাপান ও বাংলাদেশসহ দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে করোনায় সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়তে শুরু করেছে।
গতবছর ডিসেম্বরের শেষদিকে চীনের উহান শহরে প্রথম কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যেই বিশ্বের ১৮৫টি দেশে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মহামারি কোভিড-১৯।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানায়, আগের দুই করোনাভাইরাস সার্স ও মার্সের তুলনায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী।
ডব্লিউএইচও’র হিসাব অনুযায়ী, ২০০৩ সালে সার্স (সিভিয়ার অ্যাকুইটি রেসপিরেটরি সিনড্রোম) করোনাভাইরাসে মারা যান ৭৭৪ জন। মোট আক্রান্ত হয়েছিলেন ৮ হাজার ৯৮ জন।
অন্যদিকে, ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আরেক করোনাভাইরাস মার্সে (মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম) মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৯৪, মারা গেছেন ৮৫৮ জন।
২৪ ঘণ্টা/এমআর
Leave a Reply