চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় দুই আড়তদারকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত।
একইসাথে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৫০-৫৫ টাকা এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৬০-৬৫ টাকা দর বিক্রীর দামও নির্ধারণ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে পরিচালিত এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম। এসময় তার সাথে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমনি আক্তার।
অভিযানে খাতুনগঞ্জের মেসার্স আজমির ভান্ডার এবং শাহ আমানত ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে আজমির ভান্ডারকে ৪২ টাকা দরে কেনা মিয়ানমারের পেঁয়াজ পাইকারিতে ৭০ টাকা দরে এবং শাহ আমানত ট্রের্ডাসে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রির প্রমাণ পায় ভ্রাম্যমান আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, পেঁয়াজের দামে লাগাম টানতে খাতুনগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় ২টি আড়তে মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হলেও আড়তদারের নথিপত্র ঘেটে দেখা গেছে এর আমদানি দর পড়েছে মাত্র ৪২ টাকা।
অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি পাইকারী বিক্রেতাদের অধিক দামে পেঁয়াজ বিক্রী না করতে সর্তক করা হয়।
এসময় তিনি আরো জানান পেঁয়াজরে দাম বৃদ্ধিতে বেশ কয়েকজন কমিশন এজেন্ট ও আমদানিকারকের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে তাদের আইনের আওতায় আনতে পদক্ষেপ নেয়া হবে। এছাড়া আমরা প্রত্যেকটি দোকানের মূল্য তালিকা পর্যবেক্ষন করেছি এবং সে অনুযায়ী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কিনা সেটাই ভ্রাম্যমান আদালত দেখছে।
পরবর্তীতে নির্ধারিত মূল্যেও চাইতে কোন আড়তদার যদি বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি কওে তাহলে আড়ত সিলগালা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধে জেলা প্রশাসনের কঠোর অবস্থানের কথা জানান জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।
Leave a Reply