জেলাভিত্তিক কিছু ক্ষুদ্র-কুটির শিল্প খুলে দেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী

অর্থনীতির চাকা সচল করতে মানুষকে সুরক্ষিত রেখে জেলা ভিত্তিক কিছু ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি জানান, ঈদের আগে মানুষকে কেনাকাটার সুযোগ করে দেয়া হবে।

চলমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (৪ মে) রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

সোমবার বেলা ১১টায় গণভবনে এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়।

রংপুর বিভাগের জেলাগুলো হচ্ছে- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও গাইবান্ধা।

এ সময় প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস মহামারিতে বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিও থমকে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব এক অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করছে। করোনাভাইরাসে দেশের অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। এর প্রভাব পড়বে আগামীতেও। বৈশ্বিক সংস্থাগুলো এটাকে অর্থনৈতিক মহামারি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ একটা আঘাত আসল। এর মোকাবিলায় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।

অস্ত্র ও সম্পদে শক্তিশালী দেশগুলোকে করোনাভাইরাস ব্যর্থ করে দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আল্লাহ রাব্বুল আলআমিনের কী খেলা! ধন-সম্পদ-অস্ত্র কিছুই কাজে লাগছে না।’

তিনি বলেন, এ অবস্থা মোকাবিলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। জনগণের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হচ্ছে। আমরা সাধারণ ছুটিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।

এর আগে শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে ছয় দফা পৃথক ভিডিও কনফারেন্সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, রাজশাহী, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৬টি জেলার সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন।
ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী জনগণকে স্বাস্থ্যবিধিসমূহ মেনে চলার আহ্বান জানান।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *