ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন ইকবাল হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক। পুলিশের দাবি, নিহত ইকবাল হোসেন ওরফে ইকবাল ডাকাত আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার। তার বিরুদ্ধে জেলার পাঁচটি থানা ও মীরসরাই থানায় মোট ৩৭টি মামলা রয়েছে।
বুধবার ভোররাত সোয়া ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের পাঠানবাড়ি সংলগ্ন আজম খান মার্কেটের সামনে এ ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ইকবাল হোসেন ওরফে ইকবাল ডাকাত পূর্ব ছাড়াইতকান্দি গ্রামের মৃত আবদুর রব ও গুণধনীর ছেলে। তার বাবা হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কারাগারে সম্প্রতি মৃতুবরণ করেন।
পুলিশের অপর একটি সূত্রে জানা যায়, ইকবাল ফেনী জেলা যুবদলের সভাপতি জাকির হোসেন জসিমের সৎ ভাই। গত ৬ মাস আগে ৪১ মাস সাজা খেটে জেলখানা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন ইকবাল। কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর থেকে তিনি ডাকাতদলের সদস্যদের সংগঠিত করে ফেনী জেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতি করে আসছেন।
ফেনীর ডিবি পুলিশের ওসি রঞ্জিত বডুয়া জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে ফেনীর ডিবি ও সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের একটি দল ওই গ্রামে যৌথ অভিযান চালায়। পুলিশের আভিযানিক দল ছাড়াইতকান্দি গ্রামের পাঠানবাড়িসংলগ্ন আজম খান মার্কেটের সামনে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করে।
এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি করলে ইকবাল গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং তার সহযোগীরা পালিয়ে যান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি একনলা বন্দুক ও তিন রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মঈন উদ্দিন জানান, ইকবালকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২৫ জুলাই রাত ২টার দিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. সিএস করিমের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ইকবালের নাম উঠে আসে। গ্রেফতারকৃত চারজন ডাকাত তার নেতৃত্বে ডাকাতি করেছে মর্মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
Leave a Reply