রাজধানীতে করোনায় মৃত্যুর সেঞ্চুরি

রাজধানী ঢাকায় করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গোটা দেশে যে পরিমাণ মৃত্যু ও আক্রান্ত হচ্ছে তার অর্ধেকই ঢাকার।

বুধবার পর্যন্ত রাজধানীসহ সারাদেশে করোনাভাইরাসে ১১ হাজার ৭১৯ জন আক্রান্ত এবং ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত মোট রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০০ জন রাজধানী ঢাকার।

এছাড়া ঢাকা জেলায় ৩ জন, কিশোরগঞ্জে ১, মাদারীপুর ২, নারায়ণগঞ্জ ৪১, মুন্সিগঞ্জ ৪, নরসিংদী ১, টাঙ্গাইল ৩, শরীয়তপুর ১।
চট্টগ্রাম জেলায় ২, কুমিল্লা ৪, ব্রাহ্মণবারিয়া ২, লক্ষ্মীপুর ১, নোয়াখালী ১ জন। সিলেট জেলায় ২ ও মৌলভীবাজার ৩ জন। রংপুর বিভাগে ১, দিনাজপুর ১, মেহেরপুর ১, ময়মনসিংহ ৩, জামালপুর ৩, বরগুনা ১, পটুয়াখালী ১, জয়পুরহাট ১, পাবনা ১ ও রাজশাহীতে ২ জনের মৃত্যু হয়।
আক্রান্তদের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৫ হাজার ৬৭৪ জন, ঢাকা জেলায় ১৬৮, গাজীপুর ৩২৮, কিশোরগঞ্জ ২০২, মাদারীপুর ৫৩, মানিকগঞ্জ ২৮, নারায়ণগঞ্জ ১ হাজার ৭২, মুন্সিগঞ্জ ১৭০, নরসিংদী ১৬৭, রাজবাড়ী ২৩, ফরিদপুর ২১, টাঙ্গাইল ৩০, শরীয়তপুর ৫৪, গোপালগঞ্জ ৪৫, চট্টগ্রাম ১১২, কক্সবাজার ৪০, কুমিল্লা ১৩০, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫৬, খাগড়াছড়ি ২, লক্ষ্মীপুর ৪৫, বান্দরবান ৪, নোয়াখালী ২২, ফেনী ৭, চাঁদপুর ৩৭, মৌলভীবাজার ২৯, সুনামগঞ্জ ৩৫, হবিগঞ্জ ৭০, সিলেট ২৭, রংপুর ৮২, গাইবান্ধা ২৪, নীলফামারী ৩১, লালমনিরহাট ৪, কুড়িগ্রাম ২২, দিনাজপুর ২৯, পঞ্চগড় ৮, ঠাকুরগাঁও ২০, খুলনা ১৭, যশোর ৭৫, বাগেরহাট ২, নড়াইল ১৩, মাগুরা ৮, মেহেরপুর ৪, সাতক্ষীরা ৪, ঝিনাইদহ ৩৩, কুষ্টিয়া ১৮, চুয়াডাঙ্গা ১৫, ময়মনসিংহ ১৯৮, জামালপুর ৭৯, নেত্রকোনা ৬২, শেরপুর ২৭, বরগুনা ৩৩, ভোলা ৬, বরিশাল ৪৪, পটুয়াখালী ২৮, ঝালকাঠি ১০, জয়পুরহাট ৩৪, পাবনা ১৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ২, বগুড়া ১৮, নাটোর ১১, নওগাঁ ১৭, সিরাজগঞ্জ ৪ এবং রাজশাহীতে ২৬ জন রয়েছেন।

রাজধানীর বাইরে ঢাকা বিভাগে আরও ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে মহামারীতে। অর্থাৎ ঢাকা বিভাগেই সর্বোচ্চ ১৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা মোট মৃতের প্রায় ৮৪ শতাংশ। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ঢাকার পাশাপাশি গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জও করোনার ঝুঁকিতে রয়েছে। এই দুই জেলায় বহু মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুও হয়েছে বেশ কয়েক জনের।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আট বিভাগের মধ্যে ঢাকা বিভাগের সর্বোচ্চ আট হাজার ৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন অর্থাৎ মোট আক্রান্তের ৮৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার ৬৭৪ জন (৫৮ দশমিক ৬৫ শতাংশ) এবং ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় দুই হাজার ৩৬১ জন (২৪ দশমিক ৪০ শতাংশ) আক্রান্ত হন।

অবশিষ্ট সাত বিভাগ মিলিয়ে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৬৮৪ জন।

২৪ ঘন্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *