কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুইজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ এর তথ্যমতে তারা মাদক কারবারি।
নিহতরা হলেন- টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্চরপাড়া এলাকার সামশুল আলমের ছেলে জিয়াবুল হক জিয়া প্রকাশ বাবুল এবং বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালী এলাকার কেফায়েত উল্লাহ ছেলে আজিম উল্লাহ।
বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়াপাহাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তারা হলেন- কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ান, উপ-পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ, কনেস্টবল রাইসুল ইসলাম আসাদ ও শুক্কুর।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল বুধবার বিকালে টেকনাফের হ্নীলা বাজার এলাকা থেকে কয়েকটি মামলার পলাতক আসামি জিয়াবুল হক বাবুলকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার ভোরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ানের নেতৃত্বে টেকনাফ থানার ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহাসহ একদল পুলিশ টেকনাফের হোয়াইক্যং সাতঘরিয়া পাড়া পাহাড়ের পাদদেশে তাদের গোপন আস্তানায় অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধারে যায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক কারবারিরা পুলিশের ওপর গুলি ছুঁড়ে বাবুলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়।
বন্দুকযুদ্ধের পর মাদক কারবারিরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাবুল ও তার আরেক সহযোগী আজিম উল্লাহকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের কক্সবাজারে নেওয়ার পরামর্শ দেন। পরে কক্সবাজারে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি শ্যুটারগান, পাঁচটি এলজি, ৩৬ রাউন্ড তাজা গুলি ও পাঁচ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে পুুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ও অস্ত্রসহ একাধিক মামলা রয়েছে। লাশ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply