জামদানী শাড়ির আদীকথা (৩) জীবনভরই জামদানী পরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জামদানী শাড়ির আদীকথা ৩

২৪ ঘণ্টা সংস্কৃতি। লেখিকা তানজিন তিপিয়া : জামদানী বালা, কানের দুল, গলার হার, আংটি, ব্যাগ, জুতো, পিন, জামদানী ঘাগড়া, লম্বা গোল কামিজ, ছবির ফ্রেম, ছবির অলেখ্য-কূচিকা, জামদানী পর্দা, কুশন, টেবিল ম্যাট সবকটি শাড়ি কেটে বানিয়েছি নিজের হাতেই।

মনে হয় পৃথিবীতে আমিই প্রথম কেউ যে কি না জামদানী দিয়ে এতো কিছু বানিয়েছে। আমার বান্ধবীরা প্রায় বলেন- তোমার এই হস্ত শিল্পের বুদ্ধিটা কাজে লাগিয়ে বড় কিছু করার ভাবো।

আরেকজন যিনি হরদম জামদানী পরেন উনার নাম না নিলে তো এই পুরো লেখাটাই বৃথা হয়ে পরবে। সেই নারীটি হলেন আমাদের প্রিয় নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যিনি সারা জীবনভরই জামদানী পরেছেন।

উনি আজ কোন রঙের জামদানী পরেছেন তা প্রতি রোজ অপেক্ষমান হয়ে দেখা আমার দৈনন্দিন কাজের মধ্যে একটি। উনার এই জামদানী পরা আমায় বাধ্য করে উনাকে ভালবাসতে।

তিনি জামদানীতে এতোই মগ্ন, যে তিনি বিদেশ সফরে গেলেও বিদেশ হতে আগত অতিথিদের জামদানী উপহার করেন। যাতে দেশের তাঁত শিল্পটি সকলের নজরে আসে। আর উনার এই উদ্দেশ্য সফল প্রায়।

জামদানী শাড়ির বাকি ইতিহাস পড়তে চোখ রাখুন ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজে। ৪ পর্বের আদিকথার চতুর্থ ও শেষ খণ্ডে থাকছে আরো চমকপ্রদ কিছু ইতিহাস।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুসরণ করে নারী নেত্রী হতে আরম্ভ করে অভিনেত্রীদের জামদানী পরিধান করতে ইদানিং খুব দেখা যায়। উনার জন্যই জামদানী আজ বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে বসেছে। যারা হরদম বিদেশী জামা ছাড়া কিছুগাঁয়ে জড়াতেনইনা তারাও দু’একটি জামদানী আলমারিতে রাখতে ব্যাকুল হয়ে পরেছেন।

আরো খবর : জামদানী শাড়ির আদীকথা (১) ইতিহাস ও বংশপরম্পরার আভিজাত্যের প্রতীক!

আরো খবর : জামদানী শাড়ির আদীকথা (২) মোঘল আমলে আবিষ্কৃত এক নিখুঁত হস্তের বিদ্যা

শুধু তাইই নয় উনাকে দেখে বিদেশী নারীরাও মনস্থির করছেন তার মধ্যে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মারসিয়া বার্ণিকেট, ভারতের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী, এবং নামি তারকারাও জামদানী পরেন বেশ যতনে।

আমার ইচ্ছেও আছে বেশ কিন্তু সময় যে তেমন হয়ে ওঠে না।তাই তানজিন ওয়ারড্রব নামে একটি অনলাইন পেজ খুলে সেখানে উদ্যোক্তার কাজ মাত্র হাত দিয়েছি। সবার সহযোগিতায় তা এগিয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।

২৪ ঘণ্টা/লেখিকা-তানজিন তিপিয়া/ সম্পাদনা-রাজীব প্রিন্স

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *