ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়াসংগঠকদের পাশে দাঁড়ালেন মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ক্রীড়াবিদরা আমাদের গৌরব। তাঁরাই আমাদের দেশের সম্মান বিশ্ব দরবারে সমুন্নিত রাখে। দেশের পতাকা মেলে ধরে বিশ্ব দরবারে। এই দূর্দীনে আমরা ক্রীড়াবিদদের পাশে না দাঁড়ালে হারিয়ে যাবে আমাদের অনেক প্রতিভা। তাই ক্রীড়াঙ্গণকে বাঁচিয়ে রাখতে ক্রীড়াবিদ ও সংগঠনকে লালন করতে হবে।

তিনি বলেন, এই দূর্দিন হয়তো কেটে যাবে ততদিন পর্যন্ত খেলোয়াড়দেরকে আমাদের দেখভাল করা জরুরী। এই বিষয়ে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও সজাগ দৃষ্টি রেখেছেন, ক্রীড়াঙ্গন বাঁচিয়ে রাখার জন্য যখন যা প্রয়োজন তিনি তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন ।

আজ শুক্রবার (১৫ মে) সকালে নগরীর এম.এ.আজিজ স্টেডিয়ামে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে সৃষ্ট সংকটে কর্মহীন হয়ে পড়া তিন শতাধিক ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের কাছে খাদ্যদ্রব্য উপহার সামগ্রী তুলে দেয়ার সময় মেয়র এসব কথা বলেন।

এসময় সিজেকেএস এর যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মশিউর রহমান, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইউসুফ, এ কে এম আবদুল হান্নান, অহিদ সিরাজ চৌধুরী স্বপন, জি এম হাসান, হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ নাছির মিয়া, ডেরী গ্যান্ড লফ, সিজেকেএস কাউন্সিলর মো. সাইফুল আলম বাপ্পী, আবদুল হান্নান মিরন, মো. সালাউদ্দিন আহমদ, ক্রীড়া সংগঠক জাহেদ আমিন তারেক উপস্থিত ছিলেন।

এসময় মেয়র আরো বলেন, করোনা মহামারিতে ক্রীড়াঙ্গন স্থবির হয়ে আছে। তাদের কথা বিবেচনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে থেকে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদ ছাড়াও আমরা সাধারণ মানুষের কাছে উপহার পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।

ক্রীড়াবিদ ও সংগঠকের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনাদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে রয়েছেন। এর ধারাবাহিকতায় আমরাও সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো।

তিনি বলেন, আমরা বিজয়ের জাতি। যতই ঝড়-ঝাপটা আসুক, যাই আসুক না কেন আমাদরে সব সময় বিজয়ী জাতি হিসেবে একথা চিন্তা করে মাথা উঁচু করে চলতে হবে।

তিনি বলেন, জীবন কখনো অচল হযে থাকতে পারে না। রোজার মাসে অনেকেরই জীবন-জীবিকার প্রয়োজন রয়েছে সেজন্য সরকার কিছু কিছু জায়গা শিথিল করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিটি জায়গায় মানুষের কষ্ট দূর করতে আপ্রান চেষ্টা করছেন। মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে ৫০ লাখ পরিবারের প্রত্যেককে আড়াই হাজার টাকা নগদ অর্থ প্রদান, প্রবাসী বেকারদের ঋণ সহায়তা দিতে ২৫০০ কোটি টাকার তহবিল, ঈদের আগে মসজিদ মাদ্রাসায় উপহার বিতরণ, অনলাইন মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবস্থায় স্নাতক ও সমমান পর্যায়ে ২০১৯ সালের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও টিউশন ফি বিতরণ কর্মসূচী চালু করেছে। এতে করে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে বলে মেয়র মন্তব্য করেন।

বেসরকারী সেবা সংস্থা আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন পবিত্র কোরআন শরীফ বিরতণ
কোরআন তেলাওয়াতের সুযোগ করে দেওয়া উত্তম কাজ-মেয়র
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, কোরআন তেলাওয়াতে ফজিলত বেশি। রহমত বর্ষনের পবিত্র এই রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াতের সুযোগ করে দেওয়া উত্তম কাজ। কোরআনের মধ্যে আছে রহমত ও বরকতের অফুরন্ত সম্ভার। যা দ্বারা মানুষের কল্যাণ ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। আল্লাহ পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছেন যেন তা নিয়ে গবেষণা করে বাস্তবে আমল করা হয়। এই কোরআন বিজ্ঞানেরও এক রহস্যময় ভান্ডার। একজন মানুষের জীবনকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য এই কিতাব সর্বোত্তম বিধান দান করে। আজ যারা পবিত্র কোনআন শরীফ পেয়েছেন তারা কোরআন শরীফ তোলোয়াত ও আমলে নিজেদের পরিশুদ্ধ করবেন বলে মেয়র আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এসময় মেয়র নগরীর কোনো এতিমখানা কিংবা মাদ্রাসা পবিত্র কোরআন শরীফ পেতে আগ্রহী হলে, তাঁর সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানান।

আজ বাদ জুমা এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে বেসরকারী সেবা সংস্থা আল মানাহিল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ৫ হাজার মুসল্লীদের মাঝে পবিত্র কোরআন শরীফ বিতরণ কালে মেয়র এসব কথা বলেন।

এসময় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস, মহানগর আওয়ামীলীগের মশিউর রহমান, কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মোহাম্মদ নাছির মিয়া, সাংবাদিক মোহাম্মদ ফারুক, ক্রীড়া সাংবাদিক নজরুল ইসলাম, আল মানহিল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এর চেয়াম্যান হেলাল উদ্দিন জমির জমির উদ্দিন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ উদ্দিন জমির উদ্দিন, পরিচালক শিহাব উদ্দিন জমির উদ্দিন, প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *