বিদ্যুতের গড়বিল নিয়ে খোরশেদ আলম সুজনের উদ্বেগ

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঘরবন্দি এই সময়ে গ্রাহকের বিদ্যুতের গড়বিল নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

তিনি আজ শনিবার (১৬ মে) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এ সময় জনদুর্ভোগ লাঘবে জনতার ঐক্য চাই শীর্ষক নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের গত দুই মেয়াদে বিদ্যুৎ খাতে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে নেওয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা। সারা দেশে শতভাগ ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিতে বিদ্যুৎ খাতে চলছে এক বিশাল কর্মযজ্ঞ। ২০২১ সালের মধ্যে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বর্তমান সরকার। ‘শেখ হাসিনার উদ্যোগ-ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ’ এ স্লোগানে প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামগুলোকেও আলোকিত করার কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়।

তিনি বলেন,চট্টগ্রামেও বিদ্যুৎ বিভাগ গ্রাহকের চাহিদা পূরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নগরীর অনেকগুলো এলাকা প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছে। এছাড়া বিদ্যুতের নতুন সাবষ্টেশন স্থাপন, ট্রান্সফরমার, বৈদ্যুতিক পোল এবং সঞ্চালন লাইনের ত্রুটিগুলো মেরামতে কাজ করছে বিদ্যুত বিভাগ। সরকারের এতোসব উন্নয়ন কর্মকান্ডে সন্তুষ্ট ছিল নগরবাসী। কারণ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের আগে যেখানে পুরো নগরী ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিংয়ে নিমজ্জিত থাকতো সেখানে এখন বিদ্যুৎ পরিস্থিতির অনেকাংশে উন্নতি হয়েছে সত্যি।

সুজন বলেন, অত্যন্ত দুঃখ ও পরিতাপের বিষয় এই যে বিদ্যুৎ বিভাগে সরকারের নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাঝেও বিদ্যুৎ নিয়ে গ্রাহকের অভিযোগের শেষ নেই। হঠাৎ করে পোস্টপেইড মিটারগুলোতে গড়বিলের নামে মাত্রাতিরিক্ত বিল প্রদান করা হচ্ছে। এমনকি মিটার পরিদর্শন না করেই বিল প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে করে নগরীর পোস্টপেইড মিটারের আওতাধীন লাখো গ্রাহক সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে যে অধিকাংশ গ্রাহকের কাছে গত মাসের বিলের তুলনায় তিন থেকে চারগুন বেশী বিল প্রদান করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। বিদ্যুৎ বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে বার বার যোগাযোগ করলেও গ্রাহকদের তারা এ বিষয়ে কোন সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেন নি। উপরন্তু তারা দেখছি দেখবো বলে গড়িমসি করছে। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের আয় রোজগারের পথ প্রায় রূদ্ধ। মানুষ মৃত্যুঝুঁকি নিয়ে দিনাতিপাত করছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের ভেলকিবাজিতে জনজীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। তার উপর গড়বিলের অত্যাচার থেকে গ্রাহকগণ মুক্তি চায়।

তিনি মিটার পরিদর্শন করে গ্রাহকদের মাঝে বিদ্যুতের বিল প্রদান করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান। অন্যথায় গ্রাহকগণ তাদের বিদ্যুতের বিল প্রদান থেকে বিরত থাকবেন এবং এজন্য কোন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তাদের এর সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে হুশিয়ারি উচ্চারন করেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

 

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *