ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃঠাকুরগাঁওয়ে বিপণী-বিতান খোলার এক সপ্তাহ যেতেই আবারও বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।
শপিংমলগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মানায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
রবিবার (১৭ মে) বিকেলে এক গণবিজ্ঞপ্তিতে সব ধরণের কাপড়, তৈরী পোশাকের দোকান, কসমেটিক ও জুতার দোকান বন্ধের আদেশ দিয়েছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানানো হয়। তবে ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানপাট আগের মতোই খোলা থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,পবিত্র রমজান ও ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য বাজার যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে সরকারকর্তৃক প্রদত্ত শর্তসমূহ পালন সাপেক্ষে খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
কিন্তু বিগত কয়েকদিন দোকানপাট বিশেষত কাপড়, তৈরী পোশাকের দোকান, কসমেটিক ও জুতার দোকানসমূহ সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা সরকারকর্তৃক প্রদত্ত শর্তসমূহ মেনে চলার বিষয়ে অবহেলা প্রদর্শন করছেন বা নির্লিপ্ত থেকেছেন।
ঠাকুরগাঁওবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে আজ অনুষ্ঠিত জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় অংশগ্রহণকারী সকল পক্ষের সিদ্ধান্তক্রমে কাপড়, তৈরী পোশাকের দোকান, কসমেটিক ও জুতার দোকানসমূহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ আদেশ আগামীকাল সকাল ৬টা হতে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবত থাকবে।
জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি ও বিস্তার প্রতিরোধের জন্য জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওষুধসহ নিত্য প্রয়োজনীয় ব্যতীত ঠাকুরগাঁও জেলার সকল কাপড়, তৈরী পোশাকের দোকান, কসমেটিক ও জুতার দোকানসমূহ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্দেশনা অমান্য করলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
২৪ ঘণ্টা/এম আর/গৌতম
Leave a Reply