ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে নীলফামারী পাসপোর্ট অফিসের নৈশ প্রহরী এনামুল হককে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।
১৬ অক্টোবর বুধবার রাতে শহরের পাচঁমাথা মোড়স্থ পাসপোর্টের আঞ্চলিক অফিস থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কুন্দল এলাকার বাসিন্দা সৈয়দপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নজির হোসেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পুলিশে দেয়া হয় তাকে।
নজির হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমার পরিবারের দুজনের পাসপোর্ট করার জন্য আমি কয়েক দিন থেকে ঘুরছি এখানে। সঠিক নিয়মে ফরম পূরণ করেও নানাভাবে ভুল বের করে ফরম নিচ্ছিলেন না তিনি। এক পর্যায়ে আমার কাছে ২৫০০ টাকার বিনিময়ে দ্রুত কাজ করে দেয়ার পরামর্শ দেন এনামুল। বিষয়টি আমি নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাসুদ সরকারকে জানালে সে তার দুইজন কর্মী খোরশেদ ও হাতেমকে পাসপোর্ট অফিসে পাঠায় এবং তারা কৌশলে পাসপোর্ট অফিসের নৈশ প্রহরী এনামুলের ঘুষের টাকা গ্রহণের ভিডিও করে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক মাসুদ সরকার জানায়, ভিডিও নিয়ে আমরা উপ-সহকারী পরিচালক শহিদ উল্যাহকে বিষয়টি জানাই। তিনি বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা প্রশাসনকে অবগত করি।
ইতোমধ্যে বিষয়টি জানাজানি হলে অনেকে জড়ো হন সেখানে। অনেকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়লে এনামুলের শাস্তি দাবি করেন বিক্ষুব্ধরা।
শহরের শাহীপাড়া এলাকার মোহাম্মদ দ্বীপ অভিযোগ করে বলেন, আমি তিনটি পাসপোর্ট করতে এসে অনেক হয়রানির শিকার হয়েছি। দুটি জরুরি এবং একটি সাধারণ পাসপোর্ট করার জন্য অতিরিক্ত ৭ হাজার টাকা নেন এনামুল।
ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম ও নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মাহবুব হোসেন উপস্থিত হয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
এ সময় এনামুল হক টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, শুধু আমি নই কর্মকর্তাদের কাছেও এই টাকা যায়।
তবে উপ-সহকারী পরিচালক শহিদ উল্যাহ্ বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না। আরো কেউ জড়িত থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply