চট্টগ্রাম নগরীতে নিজেকে র্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে একটি নোহা মাইক্রো রিকুইজিশন করে রেজাউল হক সজল নামে ১৮ বছর বয়সী এক যুবক।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) রাত এগারোটায় নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর ডেকোরেশন গলির মুখে র্যাব পরিচয়ে অপারেশনে যাওয়ার নাম করে জাহিদ হোসেন নামে অপর এক যুবককে ওই মাইক্রোতে তুলে নেয়ার চেষ্টা করে সজল।
তবে সজলের কথা বার্তায় এবং আচার ভঙ্গিতে সন্দেহ হয় জাহিদের। তিনি স্থানীয় জনতাদের সহায়তায় নোহা মাইক্রোসহ সজলকে আটক করে খবর দেওয়া হয় পাঁচলাইশ থানা পুলিশকে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদেই ফাঁস হয় গোমড়।
পুলিশ জানায়, কিশোরগঞ্জ সদর থানার কাইট্টা চর আবু বকরের বাড়ির মোহাম্মদ কুদ্দুস ও সুখি বেগমের ছেলে সজল বর্তমানে পাঁচলাইশের শুলকবহর পাখির দোকান এলাকায় বসবাস করার সুবাধে দীর্ঘদিন ধরে এসব প্রতারণা করে আসছে। সে সর্বশেষ বুধবার রাতে র্যাব পরিচয়ে বিপ্লব নামের এক ব্যাক্তিকে ভয় দেখিয়ে তার নোহা মাইক্রো রিকুইজিশন করে। পরে সাধারণ ব্যবসায়িদের ভয় দেখিয়ে গাড়িতে তুলে অপারেশনের নাম করে অর্থ আদায়ের ফাঁদ পাতার চেষ্টা করে।
তবে ঘটনাস্থলে সজলের আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে খবর দিলে সজলের সব প্ল্যান ভেসতে যায়। এরপর সজলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পাঁচলাইশ থানা পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি পরিচয়পত্র উদ্ধার করে পুলিশ। সাহিউল হক নামের পরিচয় পত্রে কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর বিহীন ফুটনোটে লিখা আছে ‘আন্ডারগ্রাউন্ড’র এজেন্ট এন্ড শাপ শুটার’।
ভুয়া র্যাব সদস্য আটকের তথ্যটি নিশ্চিত করেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম। তিনি ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, আটক সজল র্যাবের কোন সদস্য নয়, সে একজন প্রতারক। সজলের বিরুদ্ধে প্রতারণার উদ্দেশ্যে সরকারি ভুয়া কর্মচারী পরিচয় দেওয়ার অপরাধে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply