রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শক্রমে সারাদেশের ন্যায় রাউজানেও ঈদের নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে। কোনো অবস্থায় উন্মুক্ত স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করা যাবেনা। ধর্ম মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা সবাইকে মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ।
শনিবার (২৩ মে) রাউজানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিভিন্ন প্রকার দিকনির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য প্রত্যেক মুসল্লি বাড়ি থেকে ওজু করে আসবে, জায়নামাজ বাড়ি থেকে নিয়ে আসবে এবং মসজিদে প্রবেশের পূর্বে নামাজের স্থান জীবানুমুক্ত করতে হবে। মসজিদের নিজস্ব কোনো কার্পেট বিছানো যাবেনা। মসজিদের পক্ষ থেকে জীবানুনাশক স্প্রে রাখতে হবে। মুসল্লিগণ মসজিদে প্রবেশের পূর্বে তাদের স্প্রে করে নিতে হবে। একজন আরেকজন থেকে কমপক্ষে তিনফুট দুরত্ব রেখে দাঁড়াতে হবে। এক কাতার দাঁড়ানোর পর আরেক কাতার গ্যাপ রেখে দাঁড়াতে হবে, সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে। এটা সারা দেশের জন্য প্রযোজ্য।
নামাজ আদায় করতে গিয়ে যদি মুসল্লির সংখ্যা অনুমান করে একাধিক জামাতের প্রয়োজন হয় তাহলে পূর্ব থেকে প্রস্তুতি নিয়ে এবং নির্দিষ্ট সময় বিরতি দিয়ে একাধিক জামাত আদায়ের ব্যাবস্থা করতে হবে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর পরামর্শক্রমে রাউজানের সকল জনপ্রতিনিধিদের এই নির্দেশনা সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে। ইসলামী ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই বার্তা সকল মসজিদে পৌঁছে দেওয় হয়েছে।
ইউএনও জোনায়েদ কবির সোহাগ ঈদ জামাত আদায় করতে সামাজিক দুরত্ব এবং স্বাস্থ্য বিধি যাতে কোনো অবস্থাতেই বিঘ্নিত না হয় সেই লক্ষ্যে নির্দেশনাগুলো মেনে চলার জন্য রাউজানবাসীর প্রতি অনুরোধ জানান।
২৪ ঘণ্টা/এম আর/নেজাম
Leave a Reply