নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি:যশোরে এক কিশোরীকে গণধর্ষণ মামলার চার্জশিট দিয়েছেন পুলিশ। এতে ৮ জনকে অভিযুক্ত করা হলেও ২ জন কিশোর হওয়ায় তাদের শিশু আদালতে বিচারের জন্য আবেদন করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলো,শহরের লোন অফিসপাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে হৃদয় ওরফে ভাগ্নে হৃদয়, শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার জাহাঙ্গীরের বাড়ির ভাড়াটিয়া হারুন ওরফে রাজমিস্ত্রি হারুনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মামুন মোল্যা ওরফে ন্যাটা মামুন, খড়কি দক্ষিণপাড়ার হাজামপাড়ার আব্দুল বিশ্বাসের ছেলে রায়হান ইসলাম রিহান, একই এলাকার সোহরাব হোসেনের ছেলে সাকিল, সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে রবিউল ইসলাম, সদর উপজেলার বসুন্দিয়া -কেফায়েতনগর গ্রামের এলাহী বিশ্বাসের ছেলে শাহাদিয়া।
এছাড়া মামলায় শিশু অপরাধী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে,শহরের শংকরপুর গোলপাতা মসজিদ এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আল আফসান পুষ্প ও খালধার রোড নিকারিপাড়ার কাননের বাড়ির ভাড়াটিয়া রবিউল ইসলামের ছেলে মামুন সরদার ওরফে ভাগ্নে মামুন।
মামলার বিবরণে জানা গিয়েছে, শহরের শংকরপুর এলাকার ১টি বাড়ির ভাড়াটিয়ার মেয়ে শহরের ১টি স্কুলের ছাত্রী গত বছরের (১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের বকচর এলাকার র্যাব ক্যাম্পের পাশ দিয়ে বান্ধবীর বাড়ি থেকে নিজের বাসায় ফিরছিল। এই সময় আসামিরা তাকে জোর করে তুলে লোন অফিসপাড়া ভাগ্নে হৃদয়ের বাসায় নিয়ে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন সকাল ১০টার দিকে আসামি ভাগ্নে হৃদয় ও ভাগ্নে মামুন দড়াটানার ভৈরব হোটেলে খাওয়ানোর জন্য নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে পড়লে তারা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে খবর পেয়ে মেয়েটির মা হাসপাতালে গিয়ে তার কাছে সকল ঘটনা শোনেন এবং বিষয়টি থানা পুলিশকে অবহিত করে।
এই ঘটনায় তার মা বাদী হয়ে পুস্প,ভাগ্নে হৃদয়, ভাগ্নে মামুন ও ন্যাটা মামুনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে কোতয়ালী থানায় মামলা করে।
তদন্ত কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) আহসান উল্লাহ চৌধুরী এই মামলায় পুস্প, রায়হান ও সাকিলকে আটক করে। রায়হান ও শাকিল ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়। তাদের জবানবন্দিতে মেয়েটিকে প্রথমে পুষ্প, রায়হান, শাকিল,শাহাদিয়া,রবিউল এবং দ্বিতীয় দফায় পুষ্প, ভাগ্নে মামুন,ভাগ্নে হৃদয়,ন্যাটা মামুন ধর্ষণ করে বলে জানায়। তদন্তে ওই আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। কিন্তু পুষ্প ও ভাগ্নে মামুন কিশোর হওয়ায় তাদের শিশু আদালতে বিচার করার জন্য চার্জশিটে আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
এর মধ্যে ন্যাটা মামুনের বিরুদ্ধে (২০১৮ সালে) একটি হত্যা মামলা রয়েছে। আর ভাগ্নে হৃদয় ও পুষ্পর বিরুদ্ধে মারামারির মামলা রয়েছে।
২৪ ঘণ্টা/এম আর
Leave a Reply