জবির ভিসি লুটপাট করতে ‘যুবলীগের’ দায়িত্ব পেতে চান’

লুটপাট করতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য (ভিসি) মীজানুর রহমান যুবলীগের দায়িত্ব পেতে চান বলে মন্তব্য করেছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার(১৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য এ মন্তব্য করেন। আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি তাজুল ইসলাম গাজীর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘প্রতিহিংসার বিচারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি’ শীর্ষক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, আরো দুর্ভাগ্যজনক। আমি আকাশ থেকে পড়েছি। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলর বলতে পারেন, কোন একটি রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠনের সভাপতি পদ যদি তাকে দেয় তাহলে উনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাইস চ্যান্সেলরের পদ ছেড়ে দিতে পারেন। চিন্তা করেন।

তিনি বলেন, আজকে পত্রিকায় দেখলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর মীজানুর রহমান ঘোষণা করেছেন, যদি যুবলীগের দায়িত্ব তাকে দেওয়া হয় তাহলে তিনি উপাচার্যের দায়িত্ব ছেড়ে দিতে পারেন! ধিক, লজ্জা। সমাজ কোথায় গেয়েছে। যে ভাইস চ্যান্সেলর এই ধরণের যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাদের শাসন করবেন। তার চোখ রাঙ্গানীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকম্পিত থাকবে- সে যুবলীগের দায়িত্ব পেতে চান! কি জন্য? কারণ যুবলীগের দায়িত্বে গেলে ক্যাসিনো চালানো যায়। যুবলীগের দায়িত্বে গেলে টেন্ডার…। চিন্তা করেন, একজন ভাইস চ্যান্সেলরের লক্ষ্য কি হয়ে গেছে। যদি যুবলীগের প্রেসিডেন্ট হতে পারে তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের ব্যবস্থা আছে। ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে হয়তো সেটা নাই।

দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে মন্তব্য করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আজকে অনেকগুলো ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে গেছে। ব্যাংক থেকে যারা ঋণ নিচ্ছেন, তারা আর ঋণ ফেরত দিচ্ছেন না। এই ঋণ নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের ব্যবসায়ী ও সমর্থক গোষ্ঠীরা। আর খেলাপি না দিয়ে সরকার তাদেরকে আরো সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো আজকে খালি হয়ে গেছে।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, দেশ পরিচালনার জন্য সরকারের কাছে যে রাজস্ব থাকা দরকার (গত ৫ বছরের তিনগুন ট্র্যাক্স বাড়ানোর পরও) তা তাদের কাছে নাই। এজন্য দেশ পরিচালনা করতে বেসরকারি ও আধাসরকারি খাতের টাকা সরকার নিয়ে যাচ্ছে। এরপরও যখন পারছে না তখন প্রধানমন্ত্রী বলছেন, মহাসড়কেও টোল বসানো হবে। তাই বুঝতে অসুবিধা হয় না যে, তারা সরকার চালাতে পারছে না। কেনো পারছে না? কারণ কেউ কাউকে সহযোগিতা করছেন না।

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *