আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:সারা দেশে যে ১১৮১ জন মুক্তিযোদ্ধার মুক্তি সনদ বাতিল করা হয়েছে তাদের মধ্যে মিরসরাই উপজেলার ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মিরসরাই উপজেলা মুুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কার্যালয়।
সনদ বাতিল হওয়া এসব মুক্তিযোদ্ধারা হলেন-১. আমিনুল ইসলাম, পিতা-মুন্সি মিয়া, হাদি ফকিরহাট,২. গিয়াস উদ্দিন, পিতা-মো. আব্দুল গফুর মাস্টার, আবু তোরাব, ৩. ছাবের আহম্মেদ, পিতা-সফিউজ্জামান, আবু তোরাব, ৪. সাইদুল হক, পিতা-মৃত দেলোয়ার হোসেন, আবুরহাট, ৫. রবিউল হক, পিতা-জালাল আহমেদ, কোরাহাট, , ৬. মো. ফয়েজ উল্লাহ, পিতা-মৃত মৌলভী শফি উল্লাহ, আজমপুর, মিরসর ৭ আবুল বাশার, পিতা-জোনাব আলী, আজমপুর, ৮ এ কে এম খায়রুল হুদা, পিতা-সিরাজুল হক, আবুরহাট, ৯ গোলাম রাব্বানী, পিতা-জাকির হোসেন, করেরহাট, ১০, হুমায়ুন কবির, পিতা-এবিএম শফিকুল ইসলাম, তেমোহনী, ১১. মো. ইসহাক চৌধুরী, পিতা-আমিনুর রহমান, মলি আইশ, ১২, ছালেহ্ আহম্মেদ, পিতা-মোহাম্মদ আলী ইউছুফ, পরাগলপুর, মিরসরা ১৩ জোমসেদ আলম, পিতা-আলী আহম্মেদ, বগেন্দুর, ১৪, মো. আবু তাহের, পিতা-মো. ফরিদুল হক, অব্দুর হাট।
তবে এই তালিকার সাথে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন মিরসরাই উপজেলা কমান্ডার মো: কবির হোসেন। তিনি বলেন, এখানে তালিকায় ১৬ জন দেখানো হয়ছে যে খানে দুই জনের নাম দ্বৈত গননা করা হয়েছে। ১৬ জন থেকে দ্বৈত গননা বাদ দিলে ১৪ জনের যাদের নাম এসেছে এদের অনেকেই ভারতে প্রশিক্ষণ নেয়ার তালিকায় তালিকা ভুক্ত। মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজন ছিল সন্দেহ জনক মুক্তিযোদ্ধাদের প্রমাণ উপস্থাপন করার জন্য নোটিশ করা। যদি কোন মুক্তিযোদ্ধা মুক্তিযুদ্ধে তাদের সম্পৃক্ততা প্রমাণ করতে না পারে তাহলে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া ও সনদ বাতিল করা। কিন্তু মন্ত্রণালয় কিসের ভিত্তিতে তাদের সনদ বাতিল করেছে আমাদের বোধগম্য নয়। এদের অনেকেই আদালতে রিট করবে তারা তাদের প্রমানাদি আদালতে জমা দিবে তাদের সনদ পুনরায় বহাল থাকবে এটাই সত্য কথা। কিন্তু ভূল পদ্ধতিতে আসল মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে মন্ত্রণালয় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের আড়াল করে দিচ্ছে। আসল মুক্তি যোদ্ধারা আইনের মাধ্যমে তাদের মুক্তি সনদের গ্রহণ যোগ্যতা আরো পাকাপোক্ত করবে অপরদিকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধারা পার পেয়ে যাবে।
২৪ ঘণ্টা/এম আর
Leave a Reply