করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে উন্নয়ন কাজগুলো গতি ফিরে পাবে-চসিক মেয়র

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, নগরের ৪১ ওয়ার্ডে এলইডি বাতি স্থাপনের ফলে প্রতি মাসে বিপুল পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয় হচ্ছে। শহরের রাস্তাঘাটে আলোর পরিমাণ আগের চেয়ে অনেকগুণ বেড়েছে। বিদ্যুৎ ব্যয় সাশ্রয়ের পাশাপাশি বেশি আলো পাওয়া যাচ্ছে। মূলত এ কারণেই সড়কবাতি হিসেবে এলইডি লাইট স্থাপিত হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে নগরের জিইসি মোড়ে ৪১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৫ কিলোমিটার সড়কে এলইডি বাতি স্থাপন প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। জাইকা ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। মেয়র বলেন, করোনার কারনে চট্টগ্রাম সহ দেশের সমস্ত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে স্থবিরতা এসেছে। বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে উন্নয়ন কাজগুলো গতি ফিরে পাবে।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, শৈবাল দাশ সুমন, চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল সোহেল আহমেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশ, এইচটিএমএসের প্রকৌশলী মাহবুব হোসেন প্রমুখ।

চারটি প্যাকেজে ৩০টি সড়কে এলইডি বাতি লাগানো হবে এ প্রকল্পের অধীনে। সড়কগুলো হচ্ছে- ভাটিয়ারী লিংক রোড, চানমারী রোড, চট্টগ্রাম কলেজ রোড, ঢাকা ট্রাংক রোড, কালুরঘাট রোড, জাকির হোসেন সড়ক, পোর্ট কানেকটিং রোড, সাউদার্ন মেডিক্যাল কলেজ রোড, নাসিরাবাদ ইন্ডাস্ট্রিজ রোড, পুরাতন স্টেশন থেকে কদমতলী, আনন্দবাজার রোড, স্ট্র্যান্ড রোড, মাঝিরঘাট রোড, আইস ফ্যাক্টরি রোড, অক্সিজেন কুয়াইশ কানেকটিং রোডের মিড আইল্যান্ড, আমবাগান রোড, পাঠানটুলী রোড, হালিশহর রোড, শৈলবালা স্কুল রোড, ডুলুনিয়া ডেলা রোড (কেবি দাস রোড), পলিটেকনিক রোড, কবি নজরুল ইসলাম সড়ক, খুলশী আবাসিক এলাকা, পুলিশ লাইন আবাসিক এলাকা, কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা, সুগন্ধা আবাসিক এলাকা, লেকভ্যালি আবাসিক এলাকা, জাকির হোসেন সড়ক পার্ট-২ এবং নুরুজ্জামান নাজির রোড।

এসময় মেয়র আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি সারা বিশ্বকে ক্রমশ কঠিন এক অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিচ্ছে। এটা বিশ্বের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কোন প্রচেষ্টা-ই বাদ রাখা উচিত হবে না, এই চিন্তা মাথায় রেখে সরকার এগুচ্ছে। করোনা সংক্রমনের এই সময়ে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা মারাত্নক ভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, চিকিৎসা না পেয়ে নন কোভিড আক্রান্তরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অথচ চিকিৎসা পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। রোগিরা চিকিৎসা পাবেন না, এ পরিস্থিতি মেনে নেওয়া যায় না। চিকিৎসা পরিধি ও সক্ষমতা আরো ব্যাপকভাবে বাড়ানোর উদ্যোগ নিতে হবে। চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসায় হাসপাতাল,চিকিৎসা সরঞ্জাম, ডাক্তার, নার্স, টেকনিশিয়ান সহ লোকবল আরো বাড়াতে হবে। মূল কথা হলো প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সমন্বিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *