যশোর প্রতিনিধি : যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২(মণিরামপুর)সদর দপ্তরের রাজগঞ্জ উপকেন্দ্রের (এজিএম) রফিকুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া আক্রান্ত হয়েছে এক (এনজিও) কর্মী।
বৃহস্পতিবার সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এরআগে মণিরামপুরে সর্বশেষ করোনা রোগী শনাক্ত হন গত (২৫ মে)।
আক্রান্ত ২ জনের মধ্যে রফিকুল ইসলাম ৬ মাস ধরে রাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে কর্মরত আছেন। আর ওই এনজিও কর্মীর বাড়ি উপজেলার কাশিপুর গ্রামে। চাঁদপুর জেলায় কর্মস্থলে থাকতেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সেখানে নমুনা দেন। ফলাফল না পেয়ে তিনি মণিরামপুর হাসপাতালে এসে আবারো নমুনা দেন।
মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা (ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ডা. শুভ্রা বলেছেন, গত( ৭ জুন) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আসেন রাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম রফিকুল ইসলাম। একই দিন কাশিপুর গ্রামের ওই এনজিও কর্মী হাসপাতালে আসেন। ওই দিন তাদেরসহ ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন অফিসের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টারে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার দুইজনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে।
ডা. শুভ্রা বলেন,আক্রান্ত এজিএম রফিকুল ইসলাম ও এনজিও কর্মী দুইজনই এখন সুস্থ আছেন। তারা নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নেবেন।
পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেছেন, হাসপাতালে নমুনা দেওয়ার পর থেকে আমি বাসায় আলাদা কক্ষে থাকছি। জ্বরের পর ৮ জুন কিছুটা কাশি ছিল। এখন সুস্থ আছি।
যশোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ (মণিরামপুর) সদর দপ্তরের পরিচালক অরুণকুমার কুণ্ডু বলেছেন, হাসপাতালে নমুনা দেওয়ার দিন থেকে এজিএম রফিকুল ইসলাম বাসায় কোয়ারেন্টাইনে আছেন। তার স্থানে অন্য লোক দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে রাজগঞ্জ উপ-কেন্দ্র লকডাউনের কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
এই পর্যন্ত মণিরামপুরে ১৯০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৩ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। যাদের অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে।
২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়
Leave a Reply