মো: পারভেজ, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:জন্মলগ্ন থেকেই অবৈধভাবে বালি উত্তোলন আর মা মাছ শিকারের কবল থেকে কোন ভাবেই রেহাই পাচ্ছে না দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী।
সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে মাছ শিকারীরাও বদলে নিয়েছে তাদের মাছ শিকারের কলাকৌশল। ডিম ছাড়ার পর মা মাছের খাবারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হালদা হতে এবার বড়শি দিয়ে ধরা হলো ১১ কেজি ওজনের কাতাল মাছ। যার দায়ে মাছ শিকারীকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসময় ছিপাতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আহসান লাভু উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, হালদায় বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের খবর পেয়ে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মাদ রুহুল আমিন আজ শনিবার (১৩ জুন) দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী ইউনিয়নের মোয়েজ্জেম খান বাড়ি টেক এলাকায় অভিযান চালায়।
এসময় প্রশাসনকে দেখতে পেয়ে মাছ শিকারী ইউনুচ সোহেল তার দলবল নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে প্রশাসন ধাওয়া দিয়ে তাদের আটক করে। এরপর জানা যায় তারা আজ ১১ কেজি ওজনের একটি কাতাল মাছ বড়শি দিয়ে শিকার করেছে এবং মাছটি ৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেছে।
পরে অনেক চেষ্টা চালিয়ে প্রশাসন মাছটি উদ্ধার করে হালদা রিসার্চ র্যাবে পাঠিয়ে দেয়।
উল্লেখ্য, গতকালও হালদায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৪০ হাজার টাকা জরিমানাসহ ১ হাজার মিটার ঘেরা জাল উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, মাছ শিকারীরা এখন জালের পরিবর্তে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করার চেষ্টা করছে। হালদায় মা মাছের অবাধ বিচরণে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
এসময় তিনি হালদায় অবৈধভাবে মাছ শিকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, হালদায় যারা মা মাছের অবাধ বিচরণে বাধা সৃষ্টি করবে তারা কেউ প্রশাসনের হাত থেকে রেহাই পাবে না।
২৪ ঘণ্টা/এম আর
Leave a Reply