১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৬৭ নম্বর পাওয়া ফল বিক্রেতার মেয়ে তাইরিনার পড়ালেখার দায়িত্ব নিলেন মুশফিক

স্পোর্টস ডেস্ক : আরেকবার মানবিকতার পরিচয় দিলেন বাংলদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম।

নিজ শহর বগুড়া থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় রেকর্ড ১৩০০ নম্বরের মধ্যে ১২৬৭ নম্বর পাওয়া ফল বিক্রেতার মেয়ে তাইরিনা সাবরিন তোরার পড়ালেখার সব দায়িত্ব নিয়েছেন বগুড়ার সন্তান টাইগারদের সাবেক এই অধিনায়ক।

মুশফিকের পক্ষ থেকে শনিবার তোরার হাতে বই, পোশাক ও ভর্তির খরচের টাকা তুলে দেন চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎস পরিষদ (স্বাচিব) বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি বিশিষ্ট সমাজকর্মী ডা.শামির হোসেন মিশু ও মিতুর সহপাঠী স্বেচ্ছাসেবী মাসুদুর রহমান বাপ্পী।

দুপুরে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে (ভিএম) এই অর্থ প্রদান করা হয়। এ সময় তাইরিন সাবরিনা তোরার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন এবং তোরা বাবা তোয়ায়েল আহম্মেদ ও মা শামিমা আহম্মেদ উপস্থিত ছিলেন

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুশফিকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মাসুদুর রহমান বাপ্পী।

শনিবার (১৩ জুন) ফেইবুকে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি জানান, গত ৮ জুন দুপুরে মুশফিক তাকে ফোন করে। বিভিন্ন কথার মাঝে একটি খবরের কথা জানিয়ে বলে, এই বিষয়ে তাকে আগে কেন জানানো হয়নি।

খবরটি ছিল এ বছরের এসএসসি পরীক্ষায় ১৩০০ নম্বরের মাঝে ১২৬৭ নম্বর পেয়ে বগুড়া জেলার ভেতর রেকর্ড নাম্বার পেয়ে পাস করেছে তোরা। সেখানে তোরার পারিবারিক অস্বচ্ছলতা নিয়ে একটি প্রতিবেদন ছিল।বাপ্পী আরো জানান, মুশফিক নিজেই তোরার স্কুলের (বগুড়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়) প্রধান শিক্ষিকা ও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পড়ালেখার যাবতীয় খরচ একাই বহন করবে বলে জানিয়ে দিতে বলেন। প্রাথমিকভাবে কলেজে ভর্তি, পোষাক আর বইয়ের জন্য কিছু অর্থ পাঠিয়ে দেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক। শনিবার তোরার হাতে এই টাকা তুলে দেন বাপ্পী ও সামীর হোসেন মিশু।

এছাড়া তোরাকে একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে দেয়া হয়েছে। কলেজ শুরু হলে সেখানে প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ বৃত্তি হিসেবে দেবেন মুশফিক, যা দিয়ে অনায়াসে তোরা লেখাপড়ার খরচ বহন করতে পারবে। ভবিষ্যতে ফরম ফিল-আপ ও রেজিষ্ট্রেশন ফি’র জন্যেও আলাদা ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন মুশফিক।শুধু ক্রিকেটার হিসেবেই নন, মানুষ হিসেবেও যে মুশফিক বড় মনের একজন মানুষ তার প্রমাণ আরো একবার দিলেন তিনি।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *