ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাতে ‘রড ছোড়া চক্র’

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা অংশে রাতে একটি চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে, যাদের কাজ হলো ডাকাতি। যাত্রীদের মারধর করে সড়কের পাশে ফেলে দেওয়া, লুটসহ বিভিন্ন কাণ্ডে জড়িত এ সংঘবদ্ধ দলটি ‘রড ছোড়া চক্র’ নামে পরিচিত।

এ তথ্য সামনে এসেছে গতকাল বুধবার রাতে চান্দিনা থানায় একটি মামলা দায়েরের পর। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার খাদঘর এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছিল।

ছিনতাইয়ের শিকার হন এরফানুর রহমান লিটন, তার বন্ধু মনির, হিমেল, আশিক ও তার মামাতো ভাই মজিদ। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল রাতে ছিনতাইয়ের এ ঘটনায় তাদের গাড়িচালকসহ সকলেই প্রায় আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপরই তারা গৌরিপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তাদের প্রচণ্ড মারধর করা হয়।

এরফানুর রহমান লিটন জানান, তাদের সবার বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার শ্রীমদ্ধি ও দারিগাঁ গ্রামে। রাতের খাবার খেতে নিজস্ব গাড়ি নিয়ে তারা হোমনা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে বুড়িচং উপজেলার মিয়ামী হোটেলে গিয়েছিলেন।

ঘটনার সারসংক্ষেপ

লিটনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওই রাতে খাওয়া শেষে মনির, হিমেল, আশিক ও মামাতো ভাই মজিদসহ হোমনার উদ্দেশে রওনা হন। তখন রাত ১টা, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল। চান্দিনার খাদঘর এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ গাড়িতে বিকট শব্দ হয়। তার মনে হয়েছিল গাড়ির রিং ভেঙে গেছে।

লিটন বলেন, ‘২০০ গজ সামনে গিয়ে ড্রাইভার গাড়ি থামালে সমস্যা চিহ্নিত করতে সবাই নেমে পড়ি। গাড়িতে লোহার রডের আঘাত পাই। ঠিক তখন রাস্তার বাম পাশ হতে ছিনতাইকারীরা এসে আমাকে এবং বন্ধু হিমেল, আশিক ও মামাতো ভাই মাজেদকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। গাড়ি চালক কালুর মাথায় পেছন থেকে দা দিয়ে কোপ দেয়। ছিনতাইকারীরা আমার এবং আমার বন্ধুদের কাছে থাকা নগদ প্রায় ৬৫ হাজার টাকা, আইফোনসহ বিভিন্ন ব্রান্ডের পাঁচটি মোবাইল ফোন সেট, এক ভরি ওজনের স্বর্ণের চেন ও অন্যান্য সবকিছু নিয়ে যায়।’

চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল ফয়সল জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ছিনতাইয়ের ঘটনায় থানায় অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। এরা ‘রড ছোড়া চক্র’ নামে পরিচিত। জড়িত ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *