রাউজান প্রতিনিধি : রাউজানের সংসদ সদস্য এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র তরুন সমাজসেবক ফারাজ করিম চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনা পরীক্ষার জন্য রাজধানীতে ফারাজ করিম চৌধুরীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার বিকেল চারটার দিকে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। জ্বর ও হালকা কাশি থাকলেও সাংসদপুত্রের অন্য কোনো উপসর্গ নেই। বর্তমানে চিকিৎসকের পরামর্শে বাসায় আইসোলেশনে আছেন তিনি।
নিজের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে শনিবার (২৭ জুন) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের পেইজে এক স্ট্যাটাস এ ফারাজ করিম চৌধুরী লেখেন,” কিছুক্ষণ আগে জানতে পারলাম আমার করোনা রেজাল্ট পজিটিভ। ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খেলেও আমি ভরসা করছি মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের উপর। হতে পারে গতবছর আমার নিউমোনিয়া হওয়ায় এবং বর্তমানে কোভিড এর কারণে আমার নিঃশ্বাস হালকা ভারী হয়ে উঠেছে। বর্তমানে আমি পুরোপুরি একা আছি।
আইসোলেশন সেন্টারের কার্যক্রম পরিপূর্ণভাবে করার লক্ষ্যে সকল কিছু আমি ফোনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করবো। আমার জন্য চিন্তা করবেন না তবে হ্যাঁ, অবশ্যই দোয়া করবেন। যারা আল্লাহ্র উপর ভরসা করে নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাদের জন্য যথেষ্ট।
উল্লেখ্য, সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার পর থেকে রাউজানসহ চট্টগ্রামে করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় শুরু থেকেই বেশ কিছু মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন ফারাজ করিম।
শুরুতেই মাস্ক, ডেটল, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ বিভিন্ন উপকরণ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের মাঝে বিতরণ করার পর রাউজানের প্রত্যন্ত জনপদে উদ্যোগ নিয়ে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে এলাকার হত দরিদ্র, খেটে খাওয়া মানুষসহ নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবার সমূহের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
বিগত রমজান মাসে চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীর জন্য প্রতিদিন দুই হাজার করে মোট ৬০ হাজার প্যাকেট সেহেরির খাবার বিতরণ কর্মসূচি সারাদেশে প্রশংসিত হয়।
রাউজানে করোনার প্রাদুর্ভাব দিন দিন বাড়তে থাকায় রাউজানের প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও উপজেলার ৩১ শয্যা বিশিষ্ট সুলতানপুর আইসোলেশন সেন্টারে ১০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়।
বর্তমানে সাংসদপুত্রের উদ্যোগে সুলতানপুর ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে আইসোলেশন সেন্টার গঠনের কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলেছে।
একজন সাংসদপুত্র হয়ে শুধু রাউজান নয় দেশের বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বোচ্চার থাকেন তিনি।
এছাড়া উপজেলায় মাদক, ইভটিজিং ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে হেল্পডেস্ক গঠন করে কার্যকর ভূমিকা রাখেন তিনি।
দেশে চলমান করোনার প্রাদুর্ভাবে মৃত্যুবরণকারী সকল ধর্মের মানুষের দাফন-কাফন ও সৎকার কাজের জন্য নিজ উদ্যোগে গঠন করেছেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আশার আলো।
মানবিক কাজে বরাবরের মতো প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করা উদীয়মান এই রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবকের করোনা পজেটিভ আসার সংবাদে সাংসদপুত্রের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অগুণিত মানুষ। সবার প্রত্যাশা করোনামুক্ত হয়ে মানবিক এই যোদ্ধা আবার সামিল হবেন নতুন কোনো উদ্যোগ নিয়ে।
২৪ ঘণ্টা/এম আর/নেজাম
Leave a Reply