করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ পরীক্ষার ওপর ফি নির্ধারণ করেছে সরকার।
রোববার (২৯ জুন) এ সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার নিমিত্তে ‘অপ্রয়োজনীয় কভিড টেস্ট’ পরিহার করা লক্ষ্যে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে পরিপত্রে বলা হয়।
সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ অধিশাখার উপসচিব ড. বিলকিস বেগম স্বাক্ষরিত পরিপত্রে ফি-এর বর্ণনায় বলা হয়, আরটি-পিসিআর টেস্টের জন্য এখন থেকে বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহের জন্য ২০০ টাকা, বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ক্ষেত্রে ৫০০ টাকা এবং হাসপাতালে ভর্তি রোগীর ক্ষেত্রে ২০০ টাকা ফি দিতে হবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নমুনা সংগ্রহ বাবদ আদায়কৃত রাজস্ব সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। ‘চিকিৎসা সুবিধা বিধিমালা-১৯৭৪’ এর আওতায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সব সুবিধা বহাল থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধা, দুস্থ ও গরিব রোগীদের চিকিৎসা ও রোগ নির্ণয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত সরকারি আদেশ বহাল থাকবে এবং সব সরকারি হাসপাতালে উল্লিখিত হারে ফি নির্ধারণ করা হলো।
পরিপত্রে, বর্তমানে আরটি-পিসিআর টেস্ট এর মাধ্যমে করোনার সংক্রমণ নির্ণয় বিনামূল্যে থাকার কারণে অধিকাংশ মানুষই উপসর্গ ছাড়াই এর সুযোগ নিচ্ছেন।
এখন থেকে সব সরকারি হাসপাতালে উল্লিখিত হারে ফি নেওয়া হবে।
বর্তমানে দেশে ৬৮টি ল্যাবরেটরিতে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৯ এপ্রিল চারটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার অনুমতি দেয় সরকার। পরে আরও কয়েকটি হাসপাতালে এ সুবিধা দেওয়া হয়। এসব হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য সাড়ে তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।
এই পর্যন্ত পিসিআরে মোট পরীক্ষা করা হয়েছে সাত লাখ ৩০ হাজার ১৯৭টি নমুনা
২৪ ঘণ্টা/এম আর
Leave a Reply