খাগড়াছড়ি স্বাস্থ্য বিভাগে অক্সিজেন কনসেনট্রেট ডিভাইস হস্তান্তর পার্বত্য জেলা পরিষদের

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাস সংক্রমণের মহামারীর এ সময়ে সবচেয়ে বেশী জরুরী অক্সিজেন সরবরাহ। দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে সেবা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না অক্সিজেনের অভাবে। তবে এখনও পর্যন্ত ভাল অবস্থানে রয়েছে পাহাড়ী জেলা খাগড়াছড়ির চিকিৎসা ব্যবস্থা ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের যোগান। আর এর পেছনে সবচেয়ে বেশী কাজ করে যাচ্ছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।

খাগড়াছড়ি জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার অনেক আগ থেকেই চিকিৎসা ব্যবস্থায় সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষে নজর রেখে যাচ্ছেন নিয়মিত।

চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার জন্য ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম বা পিপিই, বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দফতর ও জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে জীবাণুনাশক বুথ স্থাপন ও হাসপাতাল গুলোতে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছেন।

এরই ধারাবাহিকতায় এ বার খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে হস্তান্তর করলেন অক্সিজেন কনসেনট্রেট মেশিন।

বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) সকালে খাগড়াছড়ি সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশের কাছে এ মেশিনটি হস্তান্তর করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।

এতে করে খাগড়াছড়ি জেলা অক্সিজেন সরবরাহে একধাপ এগিয়ে গেল।

এ ছাড়া পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর দেয়া ২০ টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরার দেয়া অক্সিজেন সিলিন্ডার আশার আলো দেখাচ্ছে চিকিৎসা সেবা ব্যবস্থায়।

খাগড়াছড়ির সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ জানান, পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অক্সিজেন কনসেনট্রেটের যে মেশিনটি দিয়েছেন সেটি সময়পোযুগী একটি সরঞ্জাম। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কঠিন রোগীদের অধিকাংশের বেলায় অক্সিজেন জরুরী একটি উপকরণ। খাগড়াছড়ি জেলায় আপাতত কঠিন কোন রোগী না থাকলেও পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পার্বত্য জেলা পরিষদ ও উন্নয়ন বোর্ড যেভাবে এগিয়ে এসেছে সেটি ইতিবাচক দিক।

অক্সিজেন কনসেনট্রেট মেশিন রিফিল সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, এ মেশিন পরিবেশ থেকে অক্সিজেন তৈরী করতে সক্ষম। এতে করে রিফিল করার ঝুঁকি যেমন নেই তেমনি ভাবে প্রকৃতি থেকে এটি প্রতি মিনিটে ৮ লিটার করে অক্সিজেন যোগান দিবে।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী বলেন, চিকিৎসা ব্যবস্থায় পার্বত্য জেলা পরিষদ সাধ্যমত সরঞ্জাম ও লোকবল দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। সীমিত সম্পদ দিয়ে খাগড়াছড়ির স্বাস্থ্য বিভাগ করোনার মতো মহামারীতে কাজ করে যাচ্ছে। সামনের দিনেও চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

২৪ ঘণ্টা/এম আর/প্রদীপ

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *