তথ্যমন্ত্রী ড.হাছান মাহমুদ বলেছেন, “যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা”- এমন সমালোচনা যেন না হয়। গণমাধ্যমে অনেক বিশেষজ্ঞের শংকাকে মিথ্যে প্রমাণ করেছে বাংলাদেশ।
অনেক বিশেষজ্ঞ বিবৃতি দিয়ে, টেলিভিশন টকশো এবং ফেসবুক লাইভে অনেক নেতিবাচক শঙ্কার কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর জনবান্ধব নেতৃত্বের কারণেই করোনায় এ পর্যন্ত বাংলাদেশে একজনও না খেয়ে মরেননি।
তথ্যমন্ত্রী ড হাছান মাহমুদ শুক্রবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের সহায়তা ও করোনাকালিন বিশেষ অনুদানের চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলহাজ্ব আলী আব্বাস, ডিইউজে-ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ, বিএফইউজে যুগ্ম মহাসচিব কাজী মহসিন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।
সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলামের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি কলিম সরওয়ার, সিইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ , সাংগঠনিক সম্পাদক ইফতেখারুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ইফতেখার ফয়সাল, নির্বাহী সদস্য মহররম হোসেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অর্থ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক , যুগ্ম সম্পাদক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন , সাংবাদিকদের করোনা সময়ের বিশেষ সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত চার কোটি ৩১ লক্ষ টাকা সরকারি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ তহবিল থেকে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করার জন্যও প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির কথাও জানান মন্ত্রী। সাংবাদিকদের করোনা চিকিৎসার অগ্রাধিকার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি ।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাংবাদিকসহ দেশের সব মানুষের কল্যাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, করোনাকালীন মৃত্যু ঠেকাতে সরকার সম্ভাব্য সব রকম পদক্ষেপ নিয়েছে । বাংলাদেশে মৃত্যুর হার ভারত-পাকিস্তান ও ইউরোপ-আমেরিকা থেকেও কম। করোনা অভিন্ন শত্রু। এখানে কারো মিসাইল বা এন্টি মিসাইল কাজ করেনি। আমরা এখন সমন্বিতভাবে বৈশ্বিক পদক্ষেপে মানব স্বার্থে কাজ করবো, নাকি যুদ্ধ সংঘাতের পথে থাকবো -এটা বিবেচনার জন্য এখন সর্বোচ্চ সময়।
তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ঢাকার বাইরে প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে বিবেচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সাংবাদিকদের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিত এবং সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, সরকার এ পর্যন্ত সাত কোটি মানুষের কাছে সরাসরি করোনাকালীন সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে।
ক্ষমতাসীন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা সময় কালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগও ১ কোটি ২৫ লক্ষ মানুষকে সহায়তা দিয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএফইউজের সহ-সভাপতি ও পেশাজীবী নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী কল্যাণ ট্রাস্টে ঢাকার বাইরের প্রতিনিধিত্ব, গণমাধ্যম কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা, যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিতকরণসহ সাংবাদিকদের সুরক্ষায় নানা বিষয়ে সরকারের আরো কঠোর মনিটরিং দাবি করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের বৈষম্য কাটাতে হবে। কল্যাণ ট্রাস্ট ও মনিটরিং সেলের ঢাকার বাইরে প্রতিনিধিত্বের বিষয়ে আরো প্রায় চার বছর আগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরেন সাংবাদিক নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।
ডিইউজে সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ সাংবাদিকদের সহায়তার ব্যাপারে তথ্যমন্ত্রীসহ সরকারের গণমাধ্যম বান্ধব চরিত্রের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, সাংবাদিকদের প্রধান দাবি-দাওয়া থাকবে মালিকপক্ষের কাছে। সে দাবি-দাওয়া আদায়ে সরকার সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের জন্য মন্ত্রীর বিশেষ তহবিল প্রত্যাশা করেন।
তিনি সাংবাদিক সমাজের পাশে থাকায় প্রধানমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম শামসুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিনিধিত্ব সহ ঢাকার সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের পরিস্থিতি তুলে ধরে এ ক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা প্রত্যাশা করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তব্যে সিইউজে সভাপতি মোহাম্মদ আলী তথ্যমন্ত্রীসহ আগতদের কৃতজ্ঞতা জানান এবং চট্টগ্রামের সংবাদপত্রগুলোতে পরিবহন সুবিধা ছাড়া রাত তিনটায়ও কাজ করতে বাধ্য করাসহ চট্টগ্রামের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
২৪ ঘণ্টা/এম আর
Leave a Reply