নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডিমলায় মায়া(ছদ্মনাম) নামের এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামী ও তিন সন্তানের জনক শাহিন(৩৫)কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিকে শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় অজানা কারনে গণমাধ্যমকর্মীরা পুলিশের বাধার কারনে একাধিকবার চেষ্টা করেও গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির কোনো ছবি তুলতে পারেননি!
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের কাকড়া বাজার এলাকার এক দরিদ্র পরিবারের কন্যা ও স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী(১৫) কে গত (২৫ জুন) বাড়ি পাশ্ববর্তী এলাকা হতে একই ইউনিয়নের দক্ষিন কাকড়া এলাকার আবুল কাসেমের ছেলে ও তিন সন্তানের জনক শাহিন(৩৫) সহ তার ৪ সহযোগী জোর পূর্বক ওই ছাত্রীটিকে মোটরসাইকেল তুলে অপহরন করে উপজেলা সদর ইউনিয়নের আদর্শ পাড়া (তেলিপাড়া)গ্রামের এক ব্যক্তির বাড়িতে রেখে একাধিকবার ধর্ষন করেন।
পরেরদিন (২৬ জুন) খবর পেয়ে ছাত্রীটির পিতা স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ওই বাড়ি থেকে ছাত্রীটিকে উদ্ধার করলেও এ সময় মুল অভিযুক্ত শাহিন পালিয়ে যায়।
পরে ছাত্রীটির পরিবার ছাত্রীটিকে ডিমলা সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় প্রথমে মেয়ের ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে বিষয়টি গোপন রাখলেও গত (১ জুলাই) মেয়ের পিতা তার মেয়েকে অপহরন করে ধর্ষন করার অভিযোগে ৬ জনকে আসামী করে ডিমলা থানায় মামলা নং -১, তারিখ ০১/০৭/২০২০ইং দায়ের করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) নীলফামারী সদর হাসপাতালে ছাত্রীটির ডাক্তারী পরীক্ষা করানো হয়।
গত শুক্রবার (৩ জুলাই) দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিমলা থানার এসআই আতিকুর রহমান সহ সঙ্গীয়ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাঘেরপুল নামক এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামী অভিযুক্ত শাহিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির ছবি তুলতে একাধিকবার থানায় গিয়েও পুলিশি বাধার কারনে ছবি তুলতে পারেননি!
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করে শনিবার আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীদের গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির ছবি কেনো তুলতে দেয়া যাবেনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে কেনো নিষেধাজ্ঞা সে বিষয়ে তিনি স্পষ্ট করে কিছুই জানাতে পারেননি”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন) আবুল বাশার মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, আপনারা ওসি সাহেবকে বলুন বিষয়টি নিয়ে এসপি স্যারের সাথে কথা বলতে।
ধর্ষনের অভিযোগে গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির ছবি তুলতে না দেয়ার বিষয়টি নীলফামারী পুলিশ সুপার(এসপি) মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান (বিপিএম-পিপিএম)কে অবগত করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।
তবে এতকিছুর পরও পুলিশের বাধায় অভিযুক্ত ধর্ষকে ছবি তুলতে পারেনি গণমাধ্যমকর্মীরা।
২৪ ঘণ্টা/এম আর/সুজন
Leave a Reply