ঠাকুরগাঁওয়ে পশুর হাট যেন না হয় করোনা তৈরির কারখানা!

গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁও জেলার পশুর হাটগুলো এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দিনদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে আর অন্যদিকে কোরবানিকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই পশুর হাট শুরু হয়েছে।

হাটগুলোতে মাস্ক, হ্যান্ডগ্লাভস ছাড়াই ও সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে পশু কেনা-বেচা। এতে যেন পশুর হাটগুলো করোনা সংক্রমণের খনি ও মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

আবার ল্যাম্পি স্কিন নামক গবাদি পশুর নতুন একটি ভাইরাস দেশব্যাপীর মত এ জেলাতেও ছড়িয়ে পড়েছে। এর পরেও পশুর হাটগুলোর কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চলছে কেনা-বেচা।

বাজারগুলোতে নেই কোনো পশুরোগ নির্ণয় করার ব্যবস্থা, নেই কোন প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের পশুডাক্তার বা পর্যবেক্ষণ টিম।

এমন দৃশ্য দেখা গেছে সদর উপজেলার বড়খোচাবাড়ি, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহীড়ি হাটসহ জেলার বিভিন্ন পশুর হাটগুলোতে।

দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হতে প্রাপ্ত সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী ঠাকুরগাঁও জেলায় এ পর্যন্ত করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২২৭ জনের। শনাক্তদের মধ্য থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৬০ জন ও মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।

অন্যদিকে জেলা প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, ল্যাম্পি স্কিন রোগে আড়াই হাজার গবাদি পশু আক্রান্ত হয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২০টি গরু। গরু ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গরুগুলোকে কোনো রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বাজারে প্রবেশ করানো হচ্ছে। মাস্ক বা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা উচিত বলেও মনে করেন তারা কিন্তু নানা অযুহাত দেখিয়ে মানছে না কেউ কোনো স্বাস্থ্যবিধি। করোনার কারণে ক্রেতা কম হওয়ায় ও গরুর ল্যাম্পি স্কিন রোগের কারণে গত বছরের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক কম।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলতাফ হোসেন বলেন, কোরবানির ১৫ দিন আগ থেকে গরুর হাটগুলোতে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করবে।

তিনি আরো বলেন, করোনার মতো ল্যাম্পি স্কিন রোগেরও সুনির্দিষ্ট কোন চিকিৎসা নেই। তারপরও জ্বর কমানোর জন্য প্যারাসিটামল ও এন্টি হিসটামিন জাতীয় ওষুধ প্রয়োগ করতে বলা হয়। এছাড়াও ইমিউইনিটি বাড়ানোর জন্য ভিটামিন সি ও ঘা শুকানোর জন্য জিংক জাতীয় খাবার প্রয়োগ করা যাবে।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

গৌতম চন্দ্র বর্মন
ঠাকুরগাঁও
০১৭৩০৪০২৩৬১

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *