শান্তিতে বসবাস করতে চায় মিরসরাই উপকূলের জনগণ

আশরাফ উদ্দিন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : মিরসরাই উপজেলার সাহেরখালী উপকূলিয় এলাকায় বসবাস করে সমাজের সবচেয়ে অবহেলিত ও সুবিধা বঞ্চিত জেলে সমাজ। সংসারে অভাব অনটন তাদের নিত্য সঙ্গি। জীবন বাজি রেখে ধাদনে টাকা নিয়ে নৌকা ও জাল ক্রয় করে জীবনের ঝুকি নিয়ে উত্তাল সাগরে জাল ফেলে মাছ ধরে জিবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু এই নিরীহ জেলে সমাজের উপরও চলে এসব পাতি নেতাদের অন্যায় অত্যাচার জোল জুলুল ব্যাবিচার। নিরবে সব সহ্য করে কোন প্রকারে জীবন যাপন করতে পারলেও এত টুকু মুখ খুললেই তাদের উপর নেমে আসে অমানবিক অত্যাচার। জেলেদের জাল চুরি, নৌকার পাটতন, ইঞ্চিন চুরি, পাখা চুরি মাছ চিনতাই কোন কিছুই বাদ যায় না।

বেড়িবাধ এলাকার জসিম উদ্দিন মাষ্টার সওদাগর বলেন, তার দোকান থেকে জেলেদের জাল ও নৌকার ইঞ্জিনের যন্ত্রপাতি চুরি হয়ে যায়। যন্ত্রপাতির তেমন দাম না থাকলেও জেলেদের অনেক টাকা মূল্যের জাল গুলির জন্য খারাপ লাগে। দরিদ্র জেলেরা জালগুলি হারিয়ে নদিতে মাছ ধরা বন্ধ করে দিয়েছে এতে তাদের পরিবার গুলো বিপাকে পড়েছে খাবারের অভাবে।

রিপন সওদাগর বলেন, তার দোকানের সৌর-বিদ্যুতের ব্যাটারি, জেলেদের ইঞ্জিন চালিত নৌকার পাখা ও অন্যান্য মালামাল সহ প্রায় ১৬হাজার টাকার জিনিস চুরি হয়ে যায়।

স্থানীয় ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার জয়নাল আবেদিন দুলাল জানান, বেড়ি বাধ এলাকায় প্রতিনিয়ত চুরির ঘটনা ভুক্তভোগিরা বিভিন্ন সময় জানিয়েছে তবে কেউ বাদি হচ্ছে না, দুষ্কৃতিকারিদের নাম সরাসরি বলতে সাহস পাচ্ছে না। কেউ বাদি না হলে দুষ্কৃতিকারিদের নাম না বললে আমরা কার বিচার করবো। মানিক ও মামুনের ব্যাপারে জানত চাইলে তিনি বলেন, তারা এলাকার চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারি।

পুলিশ কয়েক বার গ্রেফতার করলেও জেল থেকে ছাড়া পেয়ে এলাকায় আরো বেশি অত্যাচার শুরু করে। মানিককে পুলিশ একবার গ্রেফতার করলেও থানা পর্যন্ত না নিয়ে ছেড়ে দেয়। তবে রাজনৈতিক কোন ফোনে নয়, পুলিশ টাকা খেয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে আমরা জানি।

১৬ নং সাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে, তিনি এসবের কিছুই জানেন না বলে অস্বীকার করেন।

অভিযোগকারীদের নাম ও মেম্বারের রেফারেন্স দিলে তিনি বলেন, আমার কাছে সরাসরি লিখিত কেউ অভিযোগ করেনি। যদি চুরি হয়ে থাকে থাকায় জিড়ি করুক আমি থানাকে সহযোগিতা করবো আসামীদের গ্রেফতার করতে। গরু চুরির ব্যাপারে গরুর মালিক কে থানায় জিড়ি করতে বলা হলেও তিনি তা করেননি।

স্থানিয়দের অভিযোগ আপনার নিরবতায় আষ্কারা পেয়ে অভিযুক্তরা এসব অপকর্ম করছে এমন কথায় তিনি কোন উত্তর না দিয়ে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পুনরায় ফোন করা হলে তিনি ৬ নং ওয়র্ড মেম্বার জয়নাল আবেদিন দুলাল কে ফোন ধরিয়ে দেন।

নাম প্রকাশে ভীত-তটস্থ অনিচ্ছুক ভূক্তভোগি ক্ষতিগ্রস্থরা স্থানিয় চেয়ারম্যান কামরুল হায়দার চৌধুরীর নিরবতাকেই দায়ি করছেন সকলেই। চেয়ারম্যানের নিরবতাকে দায়ি করলেও সরাসরি কথা বলতে সাহস পান না । তবে ফোনালাপে অনেকেই চেয়ারম্যান সহ স্থানিয় রাজনৈকি কয়েকজন নেতাকেই দায়ি মনে করে তাদের অভিমত প্রকাশ করেন। এসব ভূক্তভোগি ক্ষতিগ্রস্ত নির্যাতিত মানুষ মনে করেন স্থানিয় রাজনৈতিক নেতারা একটু সদয় হলেই উপকূলিয় এলাকার পরিবেশ বাস যোগ্য হবে। অন্যথায় রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা এসব পাতিনেতাদের কারনে বসবাসের অনুপোযোগি হয়ে উঠেছে এই উপকূলিয় জনপদ।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *