পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে এমবিবিএস ডাক্তার ও হাসপাতালের মালিক!

কোন রকমে প্রাথমিক বিদ্যায়য়ের গণ্ডি পেরিয়ে তিনি এখন এমবিবিএস ডাক্তার এবং হাসপাতালের মালিক। প্রতিদিনই নিয়মিত রোগী দেখতেন এবং ব্যবস্থাপত্র দিতেন। এভাবেই দীর্ঘদিন থেকে সাধারণ মানুষকে ধোকা দিয়ে প্রতারণা করে আসছিল রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি।

অবশেষে র‌্যাবের জালে ধরা পড়ে ওই প্রতারক ডাক্তার। পরে তাকে ৩ মাসের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সেই সাথে ওই চিকিৎসকের মালিকানাধীন সেবা হাসপাতাল সিলগালা করে দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর ধাপ এলাকায় র‌্যাব-১৩ এ অভিযান চালিয়ে হাসপাতাল সিলগালা এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয়।

সূত্র জানায়, সেবা হাসপাতালের মালিক রফিকুল ইসলাম পঞ্চম শ্রেণি পাশ। হাসপাতালের মালিক হিসেবে কোন প্রাতিষ্ঠানিক ডাক্তার না হয়েও নিয়মিত রোগী দেখেন এবং ব্যবস্থাপত্র প্রদান করেন।

রংপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন জাহান ও রংপুর সিভিল সার্জনের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে হাসপাতালের সকল সেবা কার্যক্রম নিরীক্ষা কালে দেখা যায় হাসপাতালের লাইসেন্স দীর্ঘ ৩ বছর ধরে নবায়ন করা হয়নি। ১০ (দশ) শয্যার অনুমোদন থাকলেও বর্তমানে ৩০ (ত্রিশ) টি শয্যায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কোন নিয়মিত ডাক্তার তো নেই-ই অধিকন্তু রোগীদের তাৎক্ষনিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য কোন ডিউটি ডাক্তারও নেই।

পাশাপাশি হাসপাতালের মালিক মো. রফিকুল ইসলামকে চিকিৎসা দেওয়ারত অবস্থায় হাতেনাতে আটক করা হয়। পরবর্তীতে তার ডাক্তারী সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য কাগজপত্র চাওয়া হলে তিনি তা দেখাতে পারেননি। প্রকৃতপক্ষে তিনি কোন ডাক্তার নন। কিন্তু সরকারী দলিল, ব্যাংকের চেক বই ও কোর্টের কাগজপত্রে তার নামের আগে ‘ডাক্তার’ ব্যবহার করেছেন।

র‌্যাব ১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস জানান, সেবা হাসপাতালটিতে রোগীদের হয়রানি, বেশি করে বিল আদায় করাসহ নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছিল। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে অভিযান চালানো হয়।

এদিকে জেলা সিভিল সার্জন ডা. হিরন্ব কুমার রায় বলেন, ভুুয়া ডাক্তারের কোন শিক্ষাগত যোগত্যাই নেই। তিনি নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করতেন।

২৪ ঘণ্টা/এম আর

Comments

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *